খুলনা, ১১ জুন, ২০১৯ (বাসস) : ‘আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা আজ মঙ্গলবার স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ হলে অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনায় কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক কার্যালয়, এই কর্মশালার আয়োজন করে। খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইকেট্রনিক মিডিয়ার ৩০ জন সাংবাদিক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেক ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক ড. সরদার শফিকুল ইসলাম।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক পঙ্কজ কান্তি মজুমদারের সভাপতিত্বে এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহন কুমার ঘোষ, দৌলতপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক খন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন।
ধানের বিভিন্ন নতুন প্রজাতি নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাতক্ষীরা ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ ইব্রাহিম। ই-কৃষি বিষয়ক ‘পাওয়ার পয়েন্ট’ উপস্থাপনা করেন ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাদ্দেক হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কৃষি তথ্য সংগঠক এস এম আহসান হাবীব।
কর্মশালায় বলা হয়, উপকূলীয় খুলনা অঞ্চলের কৃষিজ পরিবেশ অন্য এলাকা থেকে আলাদা। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা জেলার লবণাক্ত জমি রয়েছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই উপকূলীয় এলাকায় কিভাবে ঘাসের উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় সে লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা হচ্ছে।
কর্মশালায় আরও বলা হয়, লবণাক্ত জমিতে চাষযোগ্য ভুট্টা, তরমুজ, সূর্যমুখীসহ লবণ সহিষ্ণু বিভিন্ন প্রজাতি উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়েছে। পরীক্ষামূলক উৎপাদনে সফলতাও পাওয়া গেছে।
এতে আরও বলা হয়, এধরনের নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি খুব অল্প সময়ের মধ্যে গনমাধ্যমের কল্যাণে জনগণের কাছে পৌঁছানো সম্ভব। বিশেষত, কৃষকদের মাঝে সম্প্রসারণ করা অত্যন্ত সহজ হবে। ফলে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন সম্ভব হবে।