বাজিস-৫ : ভোলার বিভিন্ন গ্রামে টার্কি ও হাঁস পালনে নারীরা স্বাবলম্বী হচ্ছে

161

বাজিস -৫
ভোলা-টার্কি-পালন
ভোলার বিভিন্ন গ্রামে টার্কি ও হাঁস পালনে নারীরা স্বাবলম্বী হচ্ছে
ভোলা, ১১ জুন, ২০১৯ (বাসস) : জেলার বিভিন্ন গ্রামে টার্কি ও হাঁস পালনে নারীরা স্বাবলম্বী হচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকায় উন্নত জাতের মাংসল গৃহপালিত এসব প্রাণী পালনের মাধ্যমে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা পরিবারে বাড়তি আয়ের সুযোগ পাচ্ছে। ফলে টার্কি ও হাঁস পালনে পল্লী এলাকায় আগ্রহ বাড়ছে। আর এসব টার্কি মুরগি ও হাঁস দিয়ে গ্রামের নারীদের স্বাবলম্বী করতে এগিয়ে এসেছে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা।
ভোলা সদর ও দৌলতখান উপজেলার মোট ২৩টি ইউনিয়নে প্রায় ৩৭৫টি অতিদরিদ্র্র পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে টার্কি মুরগি ও প্যাকিং বয়লার হাঁস। প্রতিটি পরিবারকে ২০টি টার্কি ও ১০০শ’ করে প্যাকিং বয়লার হাঁস দেয়া হয়েছে। গ্রামের অতি দরিদ্র পরিবারগুলোর আর্থসামাজিক উন্নয়নে ও পরিবারের আয় বৃদ্ধিই এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।
পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ইউনিটের সহযোগিতায় গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা তাদের শাখা কর্যালয় থেকে এ গুলো বিতরণ করে আসছে। এ গুলোর পরিচর্চা থেকে শুরু করে সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করছে সংস্থার চিকিৎসকগণ। ফলে রোগ বালাই থেকে রক্ষা পাচ্ছে এ সব গৃহপালিত প্রাণী।
দৌলতখান উপজেলার মুন্সিরহাট গ্রামের মালা বেগম জানান, টার্কি পালনের খুব ইচ্ছা ছিল তার । তাই এনজিও থেকে টার্কি পেয়ে সে খুব খুশি। এখন এগুলো লালন পালনে তার খুব ভালো লাগে। অনেকেই এখন দেখতে আসে তার টার্কি ও প্যাকিং বয়লার হাঁস। একই গ্রামের রহিম জানান, সেও টার্কি মুরগি পেয়েছে। টার্কি অতি লাভজনক প্রাণী। খাবারও কম লাগে। বেশির ভাগ সময় এরা লতাপাতা খায়। বাজারে প্রতি কেজি টার্কি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০টাকা করে। এছাড়া হাঁসের ডিম বিক্রি করে তিনি লাভবান হচ্ছেন।
গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা (জিজেইউএস) এর নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন বাসস’কে জানান, অতি দরিদ্র্র পরিবার গুলোকে স্বাবলম্বী করতে তাদের এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। নারীদের উন্নয়ন এবং স্বাবলম্বী করতে তাদের সংস্থা সব সময় কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাসস/এইচ এ এম/১৩৫৫/নূসী