বাসস ক্রীড়া-১১ : ‘বেল না পড়া’ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান ভারত ও অস্ট্রেলিয় অধিনায়কের

140

বাসস ক্রীড়া-১১
ক্রিকেট-বিশ্বকাপ-ভারত-অস্ট্রেলিয়া
‘বেল না পড়া’ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান ভারত ও অস্ট্রেলিয় অধিনায়কের
লন্ডন, ১০ জুন ২০১৯ (বাসস/এএফপি) : ‘বেল না পড়ার’ ঘটনায় সৃষ্ট জটিলতার নিন্দা জানিয়েছেন ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও অস্ট্রেলিয় অধিনায়ক এ্যারন ফিঞ্চ। বেল না পড়ার বিষয় নিয়ে চলমান আইসিসি বিশ্বকাপে বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করেন তারা।
রোববার ওভালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের ম্যাচে জসপ্রিত বুমরাহর বলে রান নেয়ার সময় তিনি বুটের সাহায্যে বল উইকেটে লাগালেও বেল পড়ে না যাওয়ায় আউট হওয়া থেকে বেঁচে যান অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার। টুর্নামেন্টে বল উইকেটে আঘাতের পরও বেল আটকে যাওয়ার ঘটনা যে এটিই প্রথম তা নয়। বিশ্বকাপে বলের আঘাতে লাইট লাগানো ‘জিং’ বেল না পড়ার এটি পঞ্চম ঘটনা। এমনিতে উইকেটে বল আঘাত করলেই বেল পড়ে যায় এবং এর ভেতরে বিশেষ ভাবে স্থাপিত লাইট জ্বলে উঠে। যেমনটি রোববার ঘটেনি।
বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচেও এমনটি ঘটেছে। যেখানে সুযোগ পেয়ে যান ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল। মিচেল স্টার্কের ৯১ মাইল গতিবেগের বল স্ট্যাম্পে আংশিক আঘাত করলেও বেল যথাস্থানে থেকে যায়।
এমন ঘটনায় স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্বোধনী ম্যাচে রক্ষা পেয়েছিলেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে বেঁচে গিয়েছিলেন লংকান ব্যাটসম্যান দিমুথ করুনারত্নে।
তবে এখনো জিং বেলের উপর আস্থাশীল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তাদের দাবী এই পর্যায়ের ম্যাচে ব্যবহৃত বেলগুলো কাঠের তৈরী বেলের চেয়ে বেশী হাল্কা।
রোববার শুরুতে জীবন ফিরে পেয়ে ওয়ার্নার শেষ পর্যন্ত ৫৬ রান করেন। তবে এরপর বিষয়টি চলে আসে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন ও নাসের হুসেনও এ বিষয়টি সমাধানের জন্য আইসিসিকে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, অন্যথায় টুর্নামেন্টটি হুমকিতে পড়তে পারে।
রোববারের ম্যাচে ভারত ৩৬ রানে জয়লাভ করলেও ওয়ার্নার হতে পারতেন ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। যে কারণে কোহলি এটিকে অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন। ভারতীয় অধিনায়ক বলেন, ‘আপনি এ ধরনের টুর্নামেন্টে অবশ্যই এমন কিছু আশা করতে পারেননা। এই প্রযুক্তি অসাধারণ। তবে স্টাম্পের কাজও যথাযথ হতে হবে। কিন্তু স্টাম্পের অবস্থা এমন হলে তাদেরকে হারানো আপনার জন্য কঠিন হবে। একজন ব্যাটসম্যান হয়েও আমি তাই মনে করি। সেখানে আক্রমনে ছিল ফাস্ট বোলার। এমন নয় যে মিডিয়াম-পেস বোলার।
আমরা অবশ্য স্টাম্প পরখ করেছি। এগুলোকে শক্ত মনে হয়নি। তাই বুঝতে পারছিনা আসলে কি হচ্ছে। স্টাম্প কি বেশী মোটা, নাকি বেশী অনমনীয়? কোন দলই এমনটি পছন্দ করবে না। আপনি ভাল বল করবেন অথচ ব্যাটসম্যানকে আউট করতে পারবেননা। এমনটা আমি অতীতে খুব একটা দেখিনি।’
রোববারের ম্যাচে ‘বেল ঘটনায়’ সুবিধাটা পেয়েছে ফিঞ্চের দল। কিন্তু তাতেও এই অস্ট্রেলিয়াকে এর বিরুদ্ধে মন্তব্য কার থেকে বিরত রাখা যায়নি। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বেল ঘটনাটি ক্ষতিকর কিনা সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে জবাবে অসি অধিনায়ক বলেন, ‘হ্যাঁ, আমিও তাই মনে করি। আজ হয়তোবা আমরা এর সুবিধা পেয়েছি। তবে আমি মনে করি আগামীতে এটি ক্ষতি বয়ে আনবে। একের পর এক এমন ঘটনা অপ্রত্যাশিত। তারা কি করবে জানিনা। জানিনা তারা আর কত হাল্কা বেল বানাবে। তবে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল কিংবা ফাইনালে এমন ঘটনা দেখলে আপনিও ধিক্কার দেবেন।’
বাসস/এএফপি/এমএইচসি/১৯০০/স্বব