আর্থিকভাবে অসমর্থ কারাবন্দিরা সরকারি খরচে আইনী সহায়তা পাচ্ছেন

230

ঢাকা, ১০ জুন, ২০১৯ (বাসস) : সরকারি খরচে আর্থিকভাবে অসমর্থ কারাবন্দিদের আইনী সহায়তা দিচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা।
সংস্থার ওয়েবসাইটে অসমর্থ কারাবন্দিরা কিভাবে লিগ্যাল এইড বা আইনী সহায়তা পাবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে। আইনী সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করে আর্থিকভাবে অসমর্থ কারাবন্দি বিচারপ্রার্থীরা সিনিয়র জেল সুপার/জেল সুপার/জেলারের সঙ্গে প্রথমে যোগাযোগ করবেন। এরপর জেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন ফরম পূরণ ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে প্রেরণ করা হয়ে থাকে। যথাযথ ফরমে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মামলার সর্বশেষ তথ্য জেনে নেয়া হয়। জেলা লিগ্যাল এইড অফিস আবেদন পাওয়ার পর আইনজীবী নিয়োগে উদ্যোগ নেয়। কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিচারপ্রার্থী নিয়োগপ্রাপ্ত আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ ও মামলা বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেন। বিচারিক প্রক্রিয়ায় আইনজীবী কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেন। প্রয়োজন অনুযায়ি আইনগত সহায়তা বা আইনি লড়াই চালিয়ে যান সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।
গত ২৮ এপ্রিল সপ্তমবারের মতো দেশে “জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস” পালিত হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় শেখ হাসিনার অবদান/ বিনামূল্যে লিগ্যাল এইডে আইনী সেবাদান।” উন্নয়ন আর আইনের শাসনে এগিয়ে চলছে দেশ/ লিগ্যাল এইডের সুফল পাচ্ছে সারা বাংলাদেশ’ এ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য বিষয় হিসেবে রেখে ২০১৮ সালে ২৮ এপ্রিল দেশব্যাপি পালিত হয় ষষ্ঠ “জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস”।
জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার সহকারি পরিচালক (প্রশসান) ও সিনিয়র সহকারি জজ কাজী ইয়াসিন হাবিব বাসসে’র সঙ্গে আলাপকালে একথা জানান। তিনি বলেন, দেশের দরিদ্র ও অসমর্থ জনগোষ্ঠী, শ্রমিক, সহিংসতার শিকার নারী-শিশু এবং পাচারের শিকার মানুষের জন্য আইনী সেবা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আইন প্রণয়নের মধ্যদিয়ে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা আইন প্রনয়ণ ও কার্যক্রম শুরু করে।
তিনি জানান, পরে এই আইনের অধীনে বিভিন্ন বিধি প্রণীত হয়। বিধিতে কারা আইনী সহায়তা পাবেন তা নির্ধারণ করা হয়। দেশের সবক’টি জেলা আদালত, চৌকি আদালত এবং সুপ্রিমকোর্টে লিগ্যাল এইড সার্ভিস চালু রয়েছে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসগুলোকে এখন শুধু আইনী সহায়তা প্রদানের কেন্দ্র হিসেবেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়নি, মামলা জট কমানোর লক্ষ্যে এ অফিসগুলোকে ‘এডিআর কর্ণার’ বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পক্ষসমূহের সম্মতির ভিত্তিতে লিগ্যাল এইড অফিসে বিকল্প উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়ে থাকে। জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসটির প্রথম অনুষ্ঠান ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিগ্যাল এইড কল সেন্টার “জাতীয় হেল্পলাইন”-এর উদ্বোধন করেন। এ হেল্পলাইনে ১৬৪৩০ নম্বরে ফোন করে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার মাধ্যমে বিনামূল্যে আইনী সহায়তা পাচ্ছেন।