বাসস ক্রীড়া-১৫ : শ্রীলংকার বিপক্ষে জয় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ : মিরাজ

165

বাসস ক্রীড়া-১৫
ক্রিকেট-বাংলাদেশ-মিরাজ
শ্রীলংকার বিপক্ষে জয় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ : মিরাজ
কার্ডিফ, ৯ জুন ২০১৯ (বাসস) : গতকাল কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে ইংল্যান্ডের কাছে ১০৬ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। এ নিয়ে তিন ম্যাচে ১টি জয় ও দু’টিতে হারের স্বাদ পেল টাইগাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু করলেও নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ডের কাছে হারতে হলো মাশরাফির দলকে। বাংলাদেশের পরের ম্যাচ মঙ্গলবার শ্রীলংকার বিপক্ষে। ঐ ম্যাচে জয় পাওয়াটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বাংলাদেশের অফ-স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ।
ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে এসে মিরাজ বলেন, ‘শ্রীলংকার বিপক্ষে পরের ম্যাচে জয় পাওয়াটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে আমাদের। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে পরের ম্যাচে আমাদের জিততেই হবে। সামনের ম্যাচ নিয়ে ম্যানেজমেন্ট পরিকল্পনা করবে, কিভাবে আরও ভালো করা যায়।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টার্গেট ৪০ রান আরও কম হলে বাংলাদেশের রান তাড়া করা সহজ হতো বলে মনে করেন মিরাজ , ‘আমাদের স্পিনারদের এমন মাঠে বল করা অনেক কঠিন এবং আমার কাছে মনে হয় বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো আমাদের। কারন উইকেট খুবই ভালো ছিলো। তাই ব্যাটসম্যানরা সহজেই বাউন্ডারি পেয়ে গেছে। যে কারণে এখানে আমাদের স্পিনারদের জন্য কঠিনই ছিলো। যদি আমাদের বোলিং আরও ভালো হতো, তবে ইংল্যান্ডকে ৩৫০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে পারতাম। এখানে ৪০ রান বেশি হয়ে গেছে। এক-একটা বোলার যদি ৫-৭ রান করে কম দিতো, তবে বড় টার্গেট হতো না। তবে ৩৫০ রানের মধ্যে ইংল্যান্ড রাখতে পারলে আমাদের জয়ের ভালো সুযোগ থাকতো। আমরা তখন সুযোগ তৈরি করতে পারতাম।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর ফিল্ডিং নিয়ে হতাশা ঝড়েছে মিরাজের কন্ঠে, ‘বাংলাদেশ যখন জিতে, তখন আমাদের সবকিছুই ভালো হয়। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং। একটা বিভাগে ভালো করে কখনো ম্যাচ জিততে পারবো না। ফিল্ডিংটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমাদের ফিল্ডিং-এ আরও ভালো করার সুযোগ রয়েছে। সামনে আরও অনেক ম্যাচ রয়েছে। সবগুলোই বড় ম্যাচ। সব বিভাগেই ভালো করতে হবে।’
ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা পারফরমার ছিলেন সাকিব আল হাসান। বল হাতে উইকেটশুন্য থাকলেও ব্যাট হাতে ১২১ ঝকমকে ইনিংস খেলেছেন সাকিব। তাই সাকিবের কাছ অনুপ্রেরণা পান মিরাজ। তিনি বলেন, ‘সাকিব ভাই এমন খেলোয়াড়,যার কাছ থেকে সবকিছু শেখার আছে। তিনি যখন বোলিং করেন তখন তাকে ফলো করি আমি। সাকিব ভাইকে দেখে আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। আজ (গতকাল) সাকিব যখন বোলিং করছিলেন, তখন তাকে দেখে সিদ্বান্ত নিয়েছিলাম এই উইকেটে কিভাবে বোলিং করতে হবে এবং কিভাবে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানকে আটকাতে হবে। দুভার্গ্যক্রমে দু’একটা ওভারে বেশি রান হয়ে গেছে। তারপরও সাকিব ভাইর কাছ থেকে অনুপ্রেরণা বেশি পাই। আমাদের জুনিয়রদের এটাই থাকে তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার। তিন বিভাগেই সাকিব ভাই ভালো করছে। ইনশাল্লাহ এবারের বিশ্বকাপে সাকিব ভাই ভালো একটা চমক দেখাবে।’
বাসস/এএসজি/এএমটি/১৮৩৪/স্বব