বাসস রাষ্ট্রপতি-২ : এসডিজির অভীষ্ট বাস্তবায়নে কৃষি শুমারি পরিচালনা সময়োচিত পদক্ষেপ : রাষ্ট্রপতি

332

বাসস রাষ্ট্রপতি-২
রাষ্ট্রপতি-কৃষি শুমারি
এসডিজির অভীষ্ট বাস্তবায়নে কৃষি শুমারি পরিচালনা সময়োচিত পদক্ষেপ : রাষ্ট্রপতি
ঢাকা, ৮ জুন, ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, এসডিজির অভীষ্ট বাস্তবায়নে পরিবীক্ষণ, সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং নিয়মিত তথ্যের চাহিদা পূরণে কৃষি শুমারি পরিচালনা একটি সময়োচিত ও কার্যকর পদক্ষেপ।
কৃষি শুমারি, ২০১৯ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন । আগামীকাল ৯ জুন থেকে কৃষি শুমারি শুরু হচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি-২০১৮’ প্রকল্পের উদ্যোগে মাঠ পর্যায়ে শুমারির মূল তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি এ প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথ ধরে বর্তমান সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিবীক্ষণ, সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং নিয়মিত তথ্যের চাহিদা পূরণের নিমিত্ত কৃষি শুমারি ২০১৯ পরিচালনা একটি সময়োচিত ও কার্যকর পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষি নিবিড়ভাবে জড়িত। দেশের মোট জনশক্তির ৪০ শতাংশের বেশি কৃষি পেশায় নিয়োজিত। তাই জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে কৃষি খাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগাধীন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রতি দশ বছর অন্তর কৃষি শুমারি পরিচালনা করে থাকে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, কৃষি শুমারি পরিচালনার মাধ্যমে কৃষি খানার সংখ্যা, খানার আকার, ভূমির ব্যবহার, কৃষির প্রকার, শস্যের ধরন, চাষ পদ্ধতি, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির সংখ্যা, কৃষিক্ষেত্রে নিয়োজিত জনবল সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ ধরনের সংগৃহীত তথ্য বৃহত্তর কৃষি খাতের উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণ এবং অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে বেঞ্চমার্ক তথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হবে এবং সরকারের বহুবিধ উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি-২০১৮’ প্রকল্পের সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
বাসস/তবি/এমআর/১৯৪২/-জেজেড