বাসস রাষ্ট্রপতি-১ : উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে আস্থা অর্জনে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়ার আহবান রাষ্ট্রপতির

182

বাসস রাষ্ট্রপতি-১
রাষ্ট্রপতি-এ্যাক্রেডিটেশন দিবস
উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে আস্থা অর্জনে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়ার আহবান রাষ্ট্রপতির
ঢাকা, ৮ জুন, ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পণ্য উৎপাদনে উৎপাদক থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যায়ে সবার আস্থা অর্জনে বিএবি, অন্যান্য সরকারি সংস্থা ও ব্যবসায়িক সম্প্রদায়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন।
‘বিশ্ব এ্যাক্রেডিটেশন দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান। আগামীকাল ৯ জুন বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও এ দিবস উদযাপন করা হবে।
বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব এ্যাক্রেডিটেশন দিবস ২০১৯’ উদ্যাপন করছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বিশ্বায়নের এ যুগে পণ্য ও সেবা সরবরাহ শৃঙ্খলে এ্যাক্রেডিটেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আমদানি-রপ্তানিকারক, ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের জন্য এ্যাক্রেডিটেশন পণ্য এবং সেবার মানের নিশ্চয়তা প্রদান করে থাকে। ব্যবসা বাণিজ্যে টেকসই যোগানদাতা নির্বাচিত হলে সামাজিক দায়বদ্ধতার পাশাপাশি নৈতিক অনুশীলন সুনিশ্চিত হয়। ফলে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান পণ্য ও সেবার মূল্য নির্ধারণে সর্বোচ্চ সুবিধা পেয়ে থাকে এবং পণ্য ও সেবার লভ্যাংশ, ব্র্যান্ডিং ইমেজ ও ক্রেতাদের মধ্যে বিশ্বস্ততা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায়।
বিশ্ব এ্যাক্রেডিটেশন দিবসে এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘এ্যাক্রেডিটেশন : সরবরাহ শৃঙ্খলে মূল্য সংযোজন’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীন চিন্তাশীল কার্যাবলীর মাধ্যমে এ্যাক্রেডিটেশন সাদৃশ্য মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠানের নিরপেক্ষতা, সাদৃশ্য সক্ষমতা ও সামঞ্জস্যতা নিশ্চিত করে। ফলে পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ভোক্তার আস্থা অর্জিত হয়।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে বর্তমান সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। উন্নত দেশের স্বীকৃতি পেতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও মানব উন্নয়ন সূচকে অগ্রগতি অর্জনে সচেষ্ট থাকতে হবে।
তিনি ‘বিশ্ব এ্যাক্রেডিটেশন দিবস ২০১৯’ এর সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
বাসস/তবি/এমআর/১৮৫৮/-আরজি