বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার অব্যাহত রাখবে যুক্তরাজ্য

688

ঢাকা, ১৬ মার্চ, ২০১৮ (বাসস) : যুক্তরাজ্য ২০১৯ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তার বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি সাইমন ম্যাকডোনাল্ড বৃহস্পতিবার লন্ডনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ কার্যলয়ে অনুষ্ঠিত যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিতীয় কৌশলগত সংলাপে বলেন, ‘আমি যুক্তরাজ্য ২০১৯ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।’
আজ এখানে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সংলাপে যুক্তরাজ্য মিয়ানমার থেকে জোর করে বিতাড়িত ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে তাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে নিজ ভূমিতে ফেরার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকটে আন্তর্জাতিক দৃষ্টি ধরে রাখার প্রতিশ্রুতি এবং রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা ও তাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে নিজ ভূমিতে ফেরার বিষয়ে সমর্থনকে বাংলাদেশ স্বাগত জানিয়েছে।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংলাপে রাজনৈতিক সম্পর্ক, দ্বিপক্ষীয় বিষয়াদি, অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগিতা, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ চলমান বৈশ্বিক বিষয়াদি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা ও মতবিনিময় হয়েছে।
সংলাপে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক এবং ব্রি টিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি সাইমন ম্যাকডোনাল্ড নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
যুক্তরাজ্য ঢাকা ও সিলেটে তাদের ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার দুটোতে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য উন্নত মানের সেবা দান বজায় রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করে।
যুক্তরাজ্য ক্রস-বর্ডার হাইয়ার এডুকেশন রুলস আশু বাস্তবায়নের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে, যা বাংরাদেশে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কাজ করার সুযোগ দেবে।
দু’দেশ নারী ও বালিকাদের শিক্ষার গুরুত্বের বিষয়ে সহমত প্রকাশ করে এবং এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতিকে যুক্তরাজ্য স্বাগত জানায়।
যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের মধ্য-আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পথে থাকার জন্য অভিনন্দন জানায় এবং বিশ্ব ব্যাংকের ডুয়িং বিজনেস সূচক উন্নয়নে কাজ করার প্রচেষ্টা ও অঙ্গীকারকে স্বাগত জানায়।
উভয় দেশ একমত হয় যে বাণিজ্য দারিদ্র্য মোকাবেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার এবং দ্বিপক্ষীয বাণিজ্য বৃদ্ধি দু’দেশের জন্য উল্লেখযোগ্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে।
উভয় দেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসহ ‘২০৩০ টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা’ বাস্তবায়নে জোরালো অঙ্গীকার ব্যক্ত করে।
দু’দেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সমন্বিত কর্মোদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা এবং ২০১৬ সালের প্যারিস চুক্তির আশু ও কার্যকর বাস্তবায়নের প্রতি জোরালো সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে।
উভয় দেশ দাস প্রথার আধুনিক রূপ বাধ্যতামূলক শ্রম অবসানও মানবপাচার বন্ধে একটি নতুন, বৈশ্বিক ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র লক্ষ্যের সমর্থনে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে সম্মত হয়।