ঈদ উদযাপনে মুখর রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্র

638

ঢাকা, ৬ জুন, ২০১৯ (বাসস) : ঈদের দ্বিতীয় দিন রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়।
ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রাজধানীর চিড়িয়াখানা, শিশুমেলা, ফ্যান্টাসি কিংডম, বলধা গার্ডেন, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা, জাতীয় সংসদ ভবন চত্বর, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, যমুনা ফিউচার পার্ক, নন্দন পার্কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে দেখা গেছে বিপুল মানুষের উপস্থিতি।
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আসে পবিত্র ইদুল ফিতর। ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। আর সেই আনন্দ উপভোগ করতে পরিবার নিয়ে ঈদের দিন থেকেই রাজধানী ও আশেপাশের বিনোদন কেন্দ্রগুলোয় ভিড় করছে দর্শনার্থীরা।
প্রথম দিনের মতো ঈদের দ্বিতীয় দিনেও সকাল থেকেই ঈদ আনন্দ উদযাপনে উল্লাসে মুখর রাজধানী ও আশেপাশের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলো। পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নগরবাসী।
ঈদের পরের দিন সকাল আটটা থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘটেছে জাতীয় চিড়িয়াখানায়। হাজার হাজার দর্শকের পদচারনায় মুখরিত চিড়িয়াখানা প্রাঙ্গণ। দর্শনার্থীদের সুবিধায় কর্মকর্তা-কর্মচারীর সমন্বয়ে ১৫টি মনিটরিং সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।
মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের প্রবেশে ১৪টি অস্থায়ী টিকিট কাউন্টার খোলা হয়েছে। দুই বছরের বেশি বয়সী প্রত্যেককে ৩০ টাকার টিকিট কেটে চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করতে হয়।
জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ড. নজরুল ইসলাম জানান, গত বছর ঈদে চিড়িয়াখানায় প্রায় দেড় লাখ লোকের সমাগম হয়। এবার তা দুই লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি। তিনি বলেন, দর্শনার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে চিড়িয়াখানায় ঘোরাঘুরি করতে পারেন সেজন্য সিসিটিভিসহ চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে রাজধানীর পাশে আশুলিয়ার থিম পার্কখ্যাত ফ্যান্টাসি কিংডম ও নন্দন পার্কে উৎসব উপভোগ করতে প্রিয়জন ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে ভিড় জমিয়েছে হাজারও বিনোদনপ্রেমী। বিভিন্ন রাইড ও ওয়াটার কিংডমে পরিজন ও বন্ধুদের নিয়ে কাটছে আনন্দ মুহূর্ত।
রাজধানীর সাধারণ আর মধ্যবিত্তের বিনোদন কেন্দ্র বলতে এখন হাতিরঝিলই প্রধান হয়ে উঠেছে। সব মানুষের স্রোত তাই সেখানেই। ঈদের দিন সকাল থেকেই সেখানে ভিড় জমায় হাজারো মানুষ। বিনোদনপ্রেমীদের জন্য নতুন সাজে প্রস্তুত করা হয়েছে হাতিরঝিল চক্রাকার বাস, ওয়াটার বাস। খোলামেলা আর বিস্তৃত পরিচ্ছন্ন বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে এ কেন্দ্রটি বেশি আকর্ষণ করে ঈদমুখর মানুষকে।
শুধু জনপ্রিয় এসব বিনোদন কেন্দ্রই নয়, ঈদে রাজধানীর ঐতিহাসিক স্থান আর বিনোদন কেন্দ্রগুলো জনসাধারণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় খুলে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্র নতুন করে সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখা হয়েছে। ছোট-বড় সবাই ছুটির আনন্দ উপভোগ করছেন। আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লাসহ ঐতিহাসিকস্থানসহ অন্যসব বিনোদন কেন্দ্রগুলো ছিল লোকে লোকারণ্য।