বাসস ক্রীড়া-১ : লড়াই করে হারলো বাংলাদেশ

314

বাসস ক্রীড়া-১
ক্রিকেট-বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড
লড়াই করে হারলো বাংলাদেশ
লন্ডন, ৬ জুন, ২০১৯ (বাসস) : প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের পর ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে গেছে বাংলাদেশ। গতরাতে টুর্নামেন্টের নবম ও নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ২ উইকেটে হারে টাইগাররা। জয়ের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে মাশরাফির দল। কিন্তু ভাগ্য সহায় না হওয়ায় ম্যাচটি হারতে হয় বাংলাদেশকে। এ ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৪৯.২ ওভারে ২৪৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে ১৭ বল বাকী রেখে জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড।
এই কেনিংটন ওভালেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ। ঐ ম্যাচে টস জিততে পারেনি টাইগাররা। এবারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও নয়। তাই টস হেরে প্রথমে ব্যাট হাতে নামতে হয় বাংলাদেশকে।
আগের দিনই প্রথম দশ ওভারে উইকেট না হারানোর ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন ওপেনার সৌম্য সরকার। নিজের ইচ্ছা পূরণের পথেই হাটছিলেন তিনি। সাথে তার সঙ্গী ছিলেন আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল। তবে দ্রুত রান তোলায় ব্যস্ত ছিলেন সৌম্য। ৩টি বাউন্ডারিতে আজও বড় ইনিংসের ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তিনি।
কিন্তু আজও পারলেন না সৌম্য। সেই সাথে নিজের ইচ্ছাকে বলিও দিয়েছেন তিনি। নবম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ৪৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান সৌম্য। নিউজিল্যান্ডের পেসার ম্যাট হেনরির বলে আউট হওয়া এই বাঁ-হাতি ২৫ বলে সমান ২৫ রান করেন।
এরপর জুটি বাঁধেন তামিম ও আগের ম্যাচের সেরা সাকিব আল হাসান। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারেনি এই জুটি। দলীয় ৬০ রানে থামেন তামিম। ৩টি চারে ৩৮ বলে ২৪ রান করে নিউজিল্যান্ড পেসার পেসার লুকি ফার্গুসনের শিকার হন তিনি। তামিমকে আউট করে ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজের ২৯তম ম্যাচে ৫০ উইকেট পূর্ণ করেন ফার্গুসন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের মত এবারও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন তামিম-সৌম্য। তাই আবারো দলের হাল ধরেন ২শ’তম ম্যাচ খেলতে নামা সাকিব ও মুশফিকুর। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন সাকিব-মুশফিক। এবারও সেই পথেই হাটচ্ছিলেন তারা। কিন্তু জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরি আসার পরই বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তারা। সাকিবের সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হন ২টি চারে ৩৫ বলে ১৯ রান করা মুশফিক।
মুশফিক ফিরে গেলেও, রান তোলার কাজটা ভালোভাবেই করছিলেন সাকিব। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের উপর চড়াও হন তিনি। তাতে ৩০ ওভার শেষে দেড়শ রানের সংগ্রহ পেয়ে যায় বাংলাদেশ। ততক্ষণে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৪তম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন সাকিব। তবে এবারও নিজের ইনিংসটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেননি এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। ৭টি চারে ৬৮ বলে ৬৪ রান করেন কলিন ডি গ্র্যন্ডিহোমের শিকার হন সাকিব। আগের ম্যাচে ৭৫ রান করেছিলেন তিনি।
সাকিবের বিদায়ের পর নিউজিল্যান্ড বোলারদের উপর আক্রমণ করার চেষ্টা করেন পাঁচ নম্বরে নামা মোহাম্মদ মিঠুন। এবারও ভালো শুরু করেন তিনি। সাবলীলভাবে ৩টি চারও হাকাঁন মিঠুন। কিন্তু বেশি দূর যাওয়া হলো না তার। হেনরির দ্বিতীয় শিকার হবার আগে ৩৩ বলে ২৬ রান করেন মিঠুন।
৩৮তম ওভারের প্রথম বলে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে দলীয় ১৭৯ রানে আউট হন মিথুন। এ অবস্থায় বাংলাদেশকে ভালো সংগ্রহ এনে দেয়ার দায়িত্ব বর্তায় শেষ দুই স্বীকৃত ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মোসাদ্দেক হোসেনের। কিন্তু দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন মাহমুদুল্লাহ। ধীরলয়ে খেলে ৪১ বলে কোন বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি ছাড়া ২০ রান করে বিদায় নেন মাহমুদুল্লাহ। এতে ১৯৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। শেষ হয়ে যায় দলের বড় সংগ্রহের আশা।
তারপরও শেষ ৪৫ বলে দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেয়ার চেষ্টা করেন লোয়ার-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। মোসাদ্দেক ১১ রানে ফিরলেও, ব্যাট হাতে মারমুখী ছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার ২৩ বলে ২৯ রানের সুবাদে ২৪৪ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন সাইফউদ্দিন। তার ইনিংসে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা ছিলো। নিউজিল্যান্ডের হেনরি ৪৭ রানে ৪টি উইকেট নেন।
২৪৫ রানের জয়ের টার্গেটে উড়ন্ত শুরুর চেষ্টা করে নিউজিল্যান্ড। ইনিংসের শুরু থেকেই বাংলাদেশ বোলারদের উপর আক্রমণাত্মকভাবে খেলতে থাকেন কিউই দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও কলিন মুনরো। ৫ ওভারে ৩৫ রান তুলে ফেলেন তারা। ঐ ৫ ওভারে নিজেসহ তিন বোলার ব্যবহার করেন অধিনায়ক মাশরাফি। কোন সাফল্য না আসাতে বাধ্য হয়ে ষষ্ঠ ওভারে দলের প্রধান ভরসা সাকিবের হাতে বল তুলে দেন টাইগার দলপতি।
বল হাতে নিয়েই প্রথম ডেলিভারিতেই উইকেট তুলে নেন সাকিব। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়ে গাপটিলকে ২৫ রানে থামান সাকিব। ১৪ বল মোকাবেলা করে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন গাপটিল।
মারমুখী গাপটিলকে শিকার করেই ক্ষান্ত হননি সাকিব। নিজের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে আবারো নিউজিল্যান্ড শিবিরে আঘাত হানেন তিনি। এবার শিকার করেন আরেক ওপেনার মুনরোকে। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৪ বলে ২৪ রান করেন মুনরো। ফলে ১০ ওভারে ৫৫ রানে দুই ওপেনারকে হারায় নিউজিল্যান্ড।
এ অবস্থা থেকে দলকে সামনের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও রস টেইলর। সেই পরিকল্পনায় বাঁধ সাধেন ফিল্ডার তামিম ইকবাল। সাকিবের করা ১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে মিড অনে বল ঠেলে দিয়ে রান নিতে দৌড় দেন উইলিয়ামসন ও টেইলর। মিড-অনে দাঁড়ানো ফিল্ডার তামিম সময়মত বল ছুড়ে দেন স্ট্রাইকে। কিন্তু বল তার হাতে পৌঁছানোর আগেই স্ট্রাইকের স্টাম্প ভেঙ্গে ফেলেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। তখনও ক্রিজে পৌঁছাতে পারেননি উইলিয়ামসনকে। তাই আউট হয়েছিলেন উইলিয়ামসন। কিন্তু স্টাম্প আগে ভেঙ্গে দেয়ায় উইলিয়ামসনকে নট-আউট ঘোষণা করেন থার্ড আম্পায়ার। তাই নিশ্চিত আউট থেকে বেঁেচ যান ৮ রান করা উইলিয়ামসন।
জীবন পেয়ে আর পেছন ফিরে তাকাননি উইলিয়ামসন। টেইলরকে নিয়ে বেশ দক্ষতার সাথেই বাংলাদেশ বোলারদের মোকাবেলা করতে থাকেন তিনি। ফলে তর-তর করে বাড়তে থাকে নিউজিল্যান্ডের রান। স্কোর দেড়শ পার করিয়ে দলকে সহজ জয়ের পথে নিয়ে যান উইলিয়ামসন ও টেইলর। ৩১ ওভারেই ১৬০ রান তুলে ফেলে নিউজিল্যান্ড।
এ অবস্থায় বোলার ও ফিল্ডিং-এ পরিবর্তন এনে ম্যাচ ফেরার পথ খুঁজতে থাকেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি। অবশেষে ৩২তম ওভারের প্রথম ও শেষ বলে দু’টি উইকেট তুলে নিয়ে দারুনভাবে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। মাত্র ১টি চারে ৭২ বলে ৪০ রান উইলিয়ামসনকে প্রথমে এবং পরে মাত্র উইকেটে আসা উইকেটরক্ষক টম লাথামকে খালি হাতে বিদায় দেন মিরাজ। তৃতীয় উইকেটে টেইলরের সাথে ১২৭ বলে ১০৫ রানের মূল্যবান জুটি গড়েন উইলিয়ামসন।
১৬২ রানের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের চতুর্থ উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরার পরিকল্পনা আটে বাংলাদেশ। কিন্তু বাঁধা হয়ে ছিলেন টেইলর। এক প্রান্ত আগলে দলের প্রধান ভরসা ছিলেন তিনিই। শেষ পর্যন্ত এই টেইলরকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের স্বপ্ন দেখান মোসাদ্দেক হোসেন। উইকেটের পেছনে মুশফিকুরকে ক্যাচ দেয়ার আগে ৯১ বলে ৮২ রান করেনার ৯টি চর মারা টেইলর।
দলীয় ১৯১ রানে টেইলরের বিদায়ের আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে বাংলাদেশ। এমন অবস্থায় নিউজিল্যান্ডের লোয়ার-অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ছেটে ফেলতে উদগ্রীব হয়ে উঠে বোলাররা। তবে ষষ্ঠ উইকেটে জুটি বেধে বাংলাদেশ বোলারদের লাইন-লেন্থহীন করতে পাল্টা আক্রমন চালান কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও মিচেল স্যান্টনার। দ্রুত রান তোলার পরিকল্পনা কাজে লাগে তাদের। এই জুটিতেই ম্যাচ শেষ করার স্বপ্ন দেখছিলো নিউজিল্যান্ড। কিন্তু দলীয় ২১৮ রানে পাঁচ বলের ব্যবধানে নিউজিল্যান্ডের দুই উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। প্রথমে গ্র্যান্ডহোমকে ১৫ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও পরে নিশামকে ২৫ রানে বিদায় দেন মোসাদ্দেক। ষষ্ঠ উইকেটে ২৭ বলে ২৭ রান যোগ করেন গ্র্যান্ডহোম-স্যান্টনার।
সাইফউদ্দিন-মোসাদ্দেকের দৃঢ়তায় জয়ের সুবাতাস পায় বাংলাদেশ। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন পড়ে ৩ উইকেট। আর নিউজিল্যান্ডের দরকার পড়ে ৩৯ বলে ২৭ রান। তবে অষ্টম উইকেটে ১৮ বলে ২০ রান তুলে নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেন স্যান্টনার ও ম্যাট হেনরি। তবে ৪৭তম ওভারের তৃতীয় বলে হেনরিকে শিকার করে আবারো খেলায় উত্তেজনা তৈরি করেন সাইফউদ্দিন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভাগ্য সহায় হয়নি বাংলাদেশের। দশ নম্বর ব্যাটসম্যান ফার্গুসনকে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন স্যান্টনার। ফার্গুসন ৪ ও স্যান্টনার ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের মিরাজ-সাকিব-সাইফউদ্দিন-মোসাদ্দেক ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের রস টেইলর।
কার্ডিফে আগামী ৮ জুন নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ইংল্যান্ড। একই দিন টনটনে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়বে নিউজিল্যান্ড।
স্কোর কার্ড :
বাংলাদেশ ইনিংস :
তামিম ইকবাল ক বোল্ট ব ফার্গুসন ২৪
সৌম্য সরকার বোল্ড ব হেনরি ২৫
সাকিব আল হাসান ক লাথাম ব ডি গ্র্যান্ডহোম ৬৪
মুশফিকুর রহিম রান আউট (গাপটিল/লাথাম) ১৯
মোহাম্মদ মিথুন ক ডি গ্র্যান্ডহোম ব হেনরি ২৬
মাহমুদুল্লাহ ক উইলিয়ামসন ব স্যান্টানার ২০
মোসাদ্দেক হোসেন ক গাপটিল ব বোল্ট ১১
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন বোল্ড ব হেনরি ২৯
মেহেদি হাসান মিরাজ ক লাথাম ব বোল্ট ৮
মাশরাফি বিন মর্তুজা ক বোল্ট ব হেনরি ১
মুস্তাফিজুর রহমান অপরাজিত ০
অতিরিক্ত (বা-১, লে বা-৮, ও-৯) ১৮
মোট (অলআউট, ৪৯.২ ওভার) ২৪৪
উইকেট পতন : ১/৪৫ (সৌম্য), ২/৬০ (তামিম), ৩/১১০ (মুশফিকুর), ৪/১৫১ (সাকিব), ৫/১৭৯ (মিঠুন), ৬/১৯৭ (মাহমুদুল্লাহ), ৭/২২৪ (মোসাদ্দেক), ৮/২৩৫ (মিরাজ), ৯/২৪৪ (মাশরাফি), ১০/২৪৪ (সাইফউদ্দিন)।
নিউজিল্যান্ড বোলিং :
হেনরি : ৯.২-০-৪৮-৩ (ও-১),
বোল্ট : ১০-০-৪৪-২ (ও-১),
ফার্গুসন : ১০-০-৪০-১ (ও-৫),
ডি গ্র্যান্ডহোম : ৮-০-৩৯-১ (ও-১),
নিশাম : ২-০-২৪-০ (ও-১),
স্যান্টনার : ১০-১-৪১-১।
নিউজিল্যান্ড ইনিংস :
গাপটিল ক তামিম ব সাকিব ২৫
মুনরো ক মিরাজ ব সাকিব ২৪
উইলিয়ামসন ক মোসাদ্দেক ব মিরাজ ৪০
টেইলর ক মুশফিকুর ব মোসাদ্দেক ৮২
লাথাম ক সাইফউদ্দিন ব মিরাজ ০
নিশাম ক সৌম্য ব মোসাদ্দেক ২৫
ডি গ্র্যান্ডহোম ক মুশফিকুর ব সাইফউদ্দিন ১৫
স্যান্টনার অপরাজিত ১৭
হেনরি বোল্ড ব সাইফউদ্দিন ৬
ফার্গুসন অপরাজিত ৪
অতিরিক্ত (নো-১, ও-৯) ১০
মোট (৮ উইকেট, ৪৭.১ ওভার) ২৪৮
উইকেট পতন : ১/৩৫ (গাপটিল), ২/৫৫ (মুনরো), ৩/১৬০ (উইলিয়ামসন), ৪/১৬২ (লাথাম), ৫/১৯১ (টেইলর), ৬/২১৮ (গ্র্যান্ডহোম), ৭/২১৮ (নিশাম), ৮/২৩৮ (হেনরি)।
বাংলাদেশ বোলিং :
মাশরাফি : ৫-০-৩২-০,
মিরাজ : ১০-০-৪৭-২ (ও-১),
মুস্তাফিজুর : ৭.১-০-৪৮-০ (ও-৩),
সাকিব : ১০-০-৪৭-২ (ও-১)।
সাইফউদ্দিন : ৭-০-৪১-২ (ও-৩)।
মোসাদ্দেক : ৮-০-৩৩-২ (ও-১)।
ফল : নিউজিল্যান্ড ২ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : রস টেইলর (নিউজিল্যান্ড)।
বাসস/এএসজি/এএমটি/১১৩০/স্বব