বাসস দেশ-২১ : এয়ার ভাইস মার্শাল এ.কে. খন্দকারের ক্ষমা প্রার্থনায় সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের প্রতিক্রিয়া

274

বাসস দেশ-২১
বই-খন্দকার-প্রতিক্রিয়া
এয়ার ভাইস মার্শাল এ.কে. খন্দকারের ক্ষমা প্রার্থনায় সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের প্রতিক্রিয়া
ঢাকা, ৩ জুন, ২০১৯ (বাসস) : এয়ার ভাইস মার্শাল (অব:) এ.কে. খন্দকারের ক্ষমা প্রার্থনায় সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ৩ জন সদস্য আজ এক যুক্ত বিবৃতি দিয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও চেয়ারম্যান, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামÑমুক্তিযুদ্ধ’৭১ মেজর জেনারেল কে.এম. সফিউল্লাহ, বীর উত্তম (অব.), লে. কর্নেল আবু ওসমান চৌধুরী ও হারুন হাবীব বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, এ.কে. খন্দকার বীর উত্তম সম্প্রতি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ২০১৪ সালে প্রথমা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত তার একটি গ্রন্থে ইতিহাস বিকৃতির দায় স্বীকার করে বক্তব্য দিয়েছেন। এ ব্যাপারে সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর নিম্নোক্ত বিবৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এতে বলা হয়, “বহুল বিতর্কিত বইটি প্রকাশের প্রায় পাঁচ বছর পর এয়ার ভাইস মার্শাল এ.কে. খন্দকার বীর উত্তম (অব.) তার বইতে ইতিহাস বিকৃতির দায় স্বীকার করেছেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মনে করে এই ক্ষমা প্রার্থনার মধ্য দিয়ে এ.কে. খন্দকার অনেক বিলম্বে হলেও তার ভুল সংশোধন করতে পেরেছেন। তবে এই অতি-বিলম্ব স্বীকারোক্তি দু:খজনক। স্মরণযোগ্য, বহুলবিতর্কিত বইটি প্রকাশের পর তীব্র জাতীয় সমালোচনার মুখে এ.কে.খন্দকার সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং ফোরাম তা গ্রহণ করে।
পৃথিবীর কোনো দেশেই জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিকৃত তথ্য উপস্থাপন করার প্রয়াস লক্ষ্য করা যায় না। যে ইতিহাসকে জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে, যে ইতিহাস জেনে বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রজন্ম জাতীয় শৌর্য বীর্যের বীরগাঁথায় অনুপ্রাণিত হবে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে, সেই ইতিহাসকে যারা নানা কৌশলে বিকৃত ও কালিমাযুক্ত করার অপচেষ্টা করে তারা অবশ্যই ইতিহাসের আস্তাকূড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। আমরা এ.কে. খন্দকারের প্রতি তার বইতে অন্তর্ভূক্ত আরও অন্যান্য ঐতিহাসিক বিকৃতি ও অসংগতিগুলি সংশোধনের আহবান জানাই। একই সঙ্গে আহবান জানাই তিনি যেন জাতির কাছে পরিষ্কার করেন, কেন এবং কোন স্বার্থবাদী মহলের প্ররোচণায় এসব প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক তথ্যের বিকৃতি ঘটনো হয়েছে। কারণ জাতীয় স্বাধীনতার গৌরবদৃপ্ত ইতিহাস রক্ষার স্বার্থেই স্বাধীনতা বিরোধী মহলের সংগোপন তৎপরতাগুলি জাতির সামনে পরিষ্কার হওয়া বাঞ্ছনীয়।’’
বাসস/সবি/এমএআর/১৯২৮/এএএ