বাসস বিদেশ-৩ : ভারতে দাবদাহ ॥ ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে তাপমাত্রা

222

বাসস বিদেশ-৩
ভারত-আবহাওয়া
ভারতে দাবদাহ ॥ ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে তাপমাত্রা
নয়াদিল্লী, ২ জুন, ২০১৯ (বাসস ডেস্ক) : ভারতের উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) অতিক্রম করেছে। এই চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার কারণে হিটস্টোক ও পানির সংকট দেখা দিতে পারে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শনিবার রাজস্থানের মরু শহর চুরুতে তাপমাত্রা থার্মোমিটারে ৫০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (১২৩ ডিগ্রী ফারেনহাইট) উঠেছে।
পুরো রাজস্থানেই ভয়াবহ দাবদাহ বিরাজ করছে।কয়েকটি শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
২০১৬ সালের মে মাসে রাজস্থানের ফালোদিতে ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২৩.৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, এক সপ্তাহ ধরে রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব,হারিয়ানা ও উত্তর প্রদেশে চলমান বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে।
ইতোমধ্যে হিটস্টকে কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
রাজধানী নয়াদিল্লীতে দাবদাহের কারণে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। এখানে তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে।
স্থানীয়দেরকে দিনের উষ্ণ সময়ে বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এমনকি পার্বত্য রাজ্য হিমাচল প্রদেশেও দাবদাহ দেখা দিয়েছে। উনাতে তামপাত্র ৪৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ধনীরা গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাধারণত এখানে চলে আসেন।
খাল-বিল ও নদী নালা শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই চেন্নাই ও এর আশপাশের কয়েকটি প্রধান শহরে পানির সংকট দেখা দেয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মহারাষ্ট্রে তৃষ্ণার্ত গবাদী পশু ও ফসলে পানি দিতে কৃষকদের যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে।
বিড এর বাসিন্দা রাজেশ চন্দ্রকান্ত বলেন, ‘আশপাশের গ্রাম থেকে আমাদের পানি সংগ্রহ করতে হয়। আমাদের গ্রামের জলাধারে পাানি নেই, খালবিল ও নদীনালা শুকিয়ে গেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কৃষকরা শুধুমাত্র প্রতি তিন দিনে একবার তাদের গবাদীপশুকে পানি খাওয়াতে পারে।’
কৃষক রঘুনাথ টোন্ডে বলেন, পাঁচ বছরের মধ্যে ওই এলাকায় সবচেয়ে ভয়াবহ পানি সংকট দেখা দিয়েছে।
তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা সাত।
টোন্ডে আরো বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে আমাদের এখানে খাবার পানি নেই। পুরো গ্রামের জন্য প্রতি দিন দিনে একদিন আমরা একটি ট্যাংকার পাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আমাদের ও গবাদীপশুর জীবন নিয়ে শঙ্কিত।’
হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকা জানায়, পানি সংকটের কারণে বিড এর অনেক বাসিন্দা গোসল ও কাপড় ধোয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
গতমাসে গান্ধীনগর শহরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, শতকরা ৪০ ভাগ ভারতীয় এ বছর তীব্র খরার সম্মুখীন হবে।
বাসস/কেএআর/১৪৪৫/-এমএবি