বাসস ক্রীড়া-১ : চতুর্থ রাউন্ডে ফেদেরার, নাদাল, ছিটকে গেলেন প্লিসকোভা

199

বাসস ক্রীড়া-১
টেনিস-ফ্রেঞ্চ ওপেন
চতুর্থ রাউন্ডে ফেদেরার, নাদাল, ছিটকে গেলেন প্লিসকোভা
প্যারিস, ১ জুন, ২০১৯ (বাসস) : ফ্রেঞ্চ ওপেনের ইতিহাসে ৪৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশী বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে চতুর্থ রাউন্ডে খেলা নিশ্চিত করেছেন রজার ফেদেরার। একইসাথে গ্র্যান্ড স্ল্যামে ৪০০তম ম্যাচ জয়েরও নতুন রেকর্ড গড়েছেন এই সুইস সেনসেশন। গতকাল ফ্রেঞ্চ ওপেনে ফেদেরারের জয়ের দিনে রাফায়েল নাদালও জয় তুলে নিয়েছেন। তবে নারীদের বিভাগে দ্বিতীয় বাছাই ক্যারোলিনা প্লিসকোভার তৃতীয় রাউন্ডেই থেমে যেতে হয়েছে।
৩৭ বছর বয়সী ফেদেরার ২০১৫ সালের পর প্রথমবারের মত রোলা গ্যাঁরোতে খেলতে এসেছেন। তৃতীয় রাউন্ডে ৬৩ নম্বর র‌্যাঙ্কধারী নরওয়ের কাসপার রুডের বিপক্ষে গতকাল ফেদেরার ৬-৩, ৬-১, ৭-৬ (১০/৮) গেমের সরাসরি সেটে জয় তুলে নিয়েছেন। এই নিয়ে ১৪বারের মত ২০’গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক ফেদেরার প্যারিসে দ্বিতীয় সপ্তাহে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। কোয়ার্টার ফাইনালের পথে তার প্রতিপক্ষ বিশ্বের ৬৮ নম্বর আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় লিওনার্দো মায়ার।
রুডের বিপক্ষে ২০০৯’ বিজয়ী ফেদেরার ৫২টি উইনিং পয়েন্ট অর্জণ করা ছাড়াও ১১টি এস মেরেছেন। রুডের বাবা ক্রিস্টিয়ান ১৯৯৯ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনে খেলেছিলেন যে বছর ফেদেরারের অভিষেক হয়েছিল। ম্যাচ শেষে ফেদেরার বলেছেন, ‘এই ম্যাচে দূর্বলতা খুঁজে পাওয়া কঠিন ছিল। সে কারনেই জয় তুলে নিতে পেরে আমি সন্তুষ্ট।’
১৯৭২ সালে ৩৮ বছর বয়সী দুইবারের চ্যাম্পিয়ন নিকোলা পিয়াট্রানগেলি শেষ ১৬’র টিকিট নিশ্চিত করেছিল। তারপর সবচেয়ে বেশী বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে ফেদেরার এই কৃতিত্ব অর্জণ করলেন। চলতি বছরের শুরুতে র‌্যাঙ্কিংয়ের ১৩৫ নম্বরে থাকা ২০ বছর বয়সী রুডের শুরুটা ভাল হয়েছিল। কিন্তু ফেদেরার ব্রেক পয়েন্ট অর্জন করে ৪-৩ গেমে এগিয়ে যাবার পর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাননি। দ্বিতীয় সেটে পরপর ১৭টি উইনিং শট খেলে সেটটিকে একপেশে করে তুলেন। তৃতীয় সেটে অবশ্য রুড ভালভাবেই ফিরে আসার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ফেদেরার যখন ৬-৪ গেমে এগিয়ে ছিলেন তখন রুড পরপর দুটি ব্রেক পয়েন্ট তুলে নিলে সেটটি টাইব্রেকে গড়ায়।
এদিকে দিনের অপর ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নাদাল বেলজিয়ান ২৭তম বাছাই ডেভিড গোফিনকে ৬-১, ৬-৩, ৪-৬, ৬-৩ গেমে পরাজিত করেছেন। ১৭বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী নাদাল এর মাধ্যমে রোলা গ্যাঁরোতে তার জয়-পরাজয়ের রেকর্ড ৮৯-২’এ উন্নীত করলেন। প্রায় এক দশক আগে রবিন সোদারলিংকের কাছে প্রথম পরাজয়ের পর ২০১৫ সালে নোভাক জকোভিচের কাছে দ্বিতীয় পরাজয়টি বরণ করেছিলেন স্প্যানিশ তারকা। তবে প্যারিসে প্রথম সপ্তাহে পরাজিত না হবার রেকর্ডটি ঠিকই ধরে রেখেছেন নাদাল। ২০১৬ সালে তৃতীয় রাউন্ড থেকে তিনি নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।
নারীদের বিভাগে আনফোর্সড এররের খেসারত গুনতে হয়েছে প্লিসকোভাকে। ক্রোয়েশিয়ার পেট্রা মারটিচ সহজেই ৬-৩, ৬-৩ গেমে চেক প্রজাতন্ত্রের দ্বিতীয় বাছাই প্লিসকোভাকে পরাজিত করে চতুর্থ রাউন্ড নিশ্চিত করেছেন। ক্যারিয়ারে প্রথম কোন গ্র্যান্ড স্ল্যামে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে ৩২তম বাছাই মারটিচের প্রতিপক্ষ এস্তোনিয়ার কায়া কানেপি। প্লিসকোভার পরাজয়ে টুর্নামেন্ট শেষে জাপানীজ তারকা নাওমি ওসাকার এক নম্বর স্থান ধরে রাখা নিশ্চিত হলো।
বাসস/নীহা/১৪২০/স্বব