বাজিস ১ : জয়পুরহাটে জামালগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারে ৩৯ লাখ টাকা রাজস্ব আয়

392

বাজিস ১
জয়পুরহাট রাজস্ব আয়
(ছবি-আছে)
জয়পুরহাটে জামালগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারে ৩৯ লাখ টাকা রাজস্ব আয়
জয়পুরহাট, ১ জুন, ২০১৯ (বাসস) : কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালনায় জয়পুরহাটের জামালগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টার বিগত ছয় বছরে ৩৮ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬১ টাকা রাজস্ব আয় করেছে।
জামালগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ববিদ রাফসিয়া জাহান বলেন, জেলার আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জ এলাকায় ৯ দশমিক ১৪ একর জায়গা সরকারি ভাবে অধিগ্রহণ করে ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় জামালগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টার। এখানে ৫০-৬০ প্রজাতির দেশী-বিদেশী ফলের চারা উৎপাদন ও কৃষক পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন ফলের বাগান তৈরিতেও কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ যাবতীয় সহায়তা প্রদান করা হয়। আম, জাম, কাঁঠাল, থাই পেয়ারা, জলপাই, ঁেপপে, আতা, গোলাপজাম, আমড়া, মাল্টা, কমলা, লটকনসহ নানা প্রজাতির ফলের চারা ও কলম উৎপাদন করা হলেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ভিয়েতনামী খাটো জাতের নারিকেল ও কাঁঠালের কলম চারা। ইতোমধ্যে কৃষক পর্যায়ে ১২ হাজার ভিয়েতনামী নারিকেল ও ৩ হাজার কাঁঠালের জাত সম্প্রসারণ করা হয়েছে। যা আগামী দুই-আড়াই বছরের মধ্যে ফল ধরতে শুরু করবে। ড্রাগন ফলের চাহিদা থাকায় এ জাত সম্প্রসারণে কাজ করছে জামালগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টার। ইতোমধ্যে সাড়ে তিন হাজার ড্রাগন ফলের জাত সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ব্রাজিলিয়ান থেকে আনা জাবটিকাবা ফলের চারা উৎপাদনের জন্য ২ টি মাতৃগাছ রয়েছে এখানে। এখান থেকে দেশের সকল হর্টিকালচার সেন্টারে এ জাত সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এখানকার আমের জনপ্রিয় জাতের মধ্যে রয়েছে নাক ফজলি, আ¤্রপালি, বারি ফোর, লেংড়া, খিরসাপাতসহ ৩৭ প্রজাতির আম । নতুন দুটি জাত গৌরমতি ও ব্যানানা ম্যাংগো লেট ভেরাইটী হিসেবে উৎপাদনের কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে। এ জাতের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সাধারন জাতের আম যখন বাজারে থাকবেনা তখন অফ সিজনে এ আম পাওয়া যাবে। লিচুর জাতের মধ্যে চাইনা-২, ৩ মোম্বাই রয়েছে। এছাড়াও বেদেনা ও মোজাফ্ফরপুরী ও বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। জামালগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উপ পরিচালক কৃষিবিদ ইউসুফ রানা মন্ডল বলেন, বিগত ৬ বছরে চারা ও কলম চারা বিক্রি করে ৩৮ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬১ টাকা রাজস্ব আয় করা হয়েছে। হর্টিকালচার সেন্টারের নিরাপত্তার জন্য সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হলেও অফিস ভবনের সংস্কার প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
বাসস/সংবাদদাতা/১০৩০/নূসী