বাজিস-৮ : ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজট নেই, স্বস্থিতে ফিরছে ঘরমুখো মানুষ

148

বাজিস-৮
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়-যানজট নেই
ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজট নেই, স্বস্থিতে ফিরছে ঘরমুখো মানুষ
টাঙ্গাইল, ১৪ জুন, ২০১৮ (বাসস) : ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশে যানজটের আশঙ্কা করলেও এখন পর্যন্ত মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়নি। ঈদ যাত্রায় দ্বিতীয় দিনে ব্যস্ততম এই মহাসড়কে ভোগান্তি ছাড়াই ঈদে ঘরমুখো মানুষ যাতায়াত করেছেন। স্বাভাবিক গতিতেই গাড়ি চলছে মহাসড়কে।
এ ছাড়া মহাসড়কে যানজট নিরসনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ১২শ’ সদস্য কাজ করছেন। এ ছাড়া যানজট নিরসনে ৬টি স্থানে আইপি ক্যামেরাও স্থাপন করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে থেকেই ঈদ যাত্রায় চার-লেনের কাজ, খানাখন্দ থাকায় এ বছর ঈদ যাত্রায় ভোগান্তির শঙ্কা ছিল। কিন্তু মহাসড়কে পুলিশের ব্যাপক তৎপরতার জন্য এবং চালকরা নিয়ম অনুযায়ী যানবাহন চলাচল করায় এখন পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়নি।
সরেজমিনে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ঈদযাত্রার দিনে ভোগান্তি ছাড়াই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করছে। এ ছাড়া মহাসড়ক অনেক সময় ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। তবে ফাঁকা এই মহাসড়কে যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাসের পাশাপাশি ট্রাক, পিকআপের ছাদে করেও মহাসড়ক পাড়ি দিতে দেখা যায়। তবে যানজট নিরসনে পুলিশ তৎপর রয়েছেন। পুলিশ বলছে, মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতে চাপও বাড়ছে। কিন্তু কোথায় কোন দীর্ঘ কিংবা স্থায়ী যানজট সৃষ্টি হয়নি। মহাসড়কে অনেক সময় ফাঁকা অবস্থায় থাকছে। মহাসড়কে জেলা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে। মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশে চার সেক্টরে ভাগ করে প্রতি সেক্টরের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে একজন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে। প্রতি দুই কিলোমিটার সড়কে একটি করে মোটর সাইকেল ভ্রাম্যমাণ পুলিশ দল রয়েছে। কোথাও যানজট শুরু হলে তারা দ্রুত সেখানে পৌছে ব্যবস্থা নিতে পারবে। এছাড়া যানজট নিরসনে ৬টি স্থানে আইপি ক্যামেরাও স্থাপন করা হয়েছে।
পুলিশ প্রশাসন বলছে, তবে মহাসড়কের ধেরুয়া রেলক্রসিং, ঘারিন্দা আন্ডারপাস, এলেঙ্গা বাজার ও বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজায় গাড়ির চাপ বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব স্থানে জেলা পুলিশের নজরদারি বেশি রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ভিআইপিদের জন্য নিয়ম অমান্য করে পুলিশ গাড়ি পাস করে দেয়। এছাড়া সাব কন্ট্রোল রুম ৪টি, ৩৬টি মোটারসাইকেল টিম সার্বক্ষণিক, প্রিকেট কিংবা পয়েন্ট রয়েছে ৪৮টি।
টাঙ্গাইল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহাদুজ্জামান মিয়া বলেন, মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশে যানজট নেই। নির্বিঘেœ মানুষ বাড়ি যেতে পারছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ মহাসড়ক দিয়ে ২২ হাজার ৬০টি গাড়ি বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে পারাপার হয়েছে। মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে যানজট নিরসনে পুলিশ সার্বক্ষণিক নিরলসভাবে কাজ করছে। আশা করছি মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হবে না।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট আজিজুর রহিম তালুকদার বলেন, ঈদ যাত্রায় ঘরমুখো মানুষ স্বস্থিতে যেতে পারছে। মহাসড়ক প্রায়ই ফাঁকা অবস্থায় রয়েছে। আশা করছি মানুষ এবারে ভোগান্তি ছাড়াই মহাসড়ক পাড়ি দিতে পারবে। তবে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।
চার লেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক জিকরুল হাসান বলেন, এবারের ঈদ যাত্রায় চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ২৬টি ব্রিজ, রাস্তা এবং কালভার্ট খুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটার চারলেন ব্যবহার করতে পারছে বলে তিনি জানান।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, প্রতি দুই কিলোমিটার সড়কে একটি করে মোটরসাইকেল ভ্রাম্যমাণ পুলিশ দল রয়েছে। কোথাও যানজট শুরু হলে তারা দ্রুত সেখানে পৌছে ব্যবস্থা নিতে পারবে। মহাসড়কে এক হাজার পুলিশ ও প্রায় দুইশ’ আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। আসন্ন ঈদে বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে এবং ঘরমুখো মানুষ যাতে নির্বিঘেœ গন্তব্যে পৌঁছতে পারে সেজন্য টাঙ্গাইল পুলিশ প্রশাসন এ বিষয়ে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
বাসস/সংবাদদাতা/১৭১৫/আহা/-মরপা