বাজিস-১ : তামাকজাত পন্যের বিজ্ঞাপন মুক্ত নীলফামারী শহর

223

বাজিস-১
নীলফামারী- তামাক বিজ্ঞাপন
তামাকজাত পন্যের বিজ্ঞাপন মুক্ত নীলফামারী শহর
নীলফামারী, ৩১ মে, ২০১৯ (বাসস) : তামাকজাত পন্যের বিজ্ঞাপনমুক্ত হয়েছে নীলফামারী জেলা শহর। এ কার্যক্রমে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জনসচেতনতার সৃষ্টির পাশাপাশি নেওয়া হয়েছে আইনী পদক্ষেপ। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে গত তিনমাসে ১৩৩টি মামলায় জরিমানা করা হয়েছে ২১ হাজার সাতশ’ টাকা।
এটিই দেশের প্রথম তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনমুক্ত শহর বলে দাবি করছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের সূত্রমতে, ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন- ২০০৫ (সংশোধিত আইন ২০১৩) এর ৫(ছ) ধারা মতে তামাকজাত দ্রব্য বিড়ি সিগারেট ও জর্দার কোনো বিজ্ঞাপন লাগিয়ে প্রচার প্রচারণা চালানো দ-নীয় অপরাধ।এরপরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী হাটে-বাজারে ও রাস্তার পাশে এবং দোকানের দর্শণীয়স্থানে খালি সিগারেটের প্যাকেট সাজিয়ে ও পোস্টার ছাপিয়ে তা প্রদর্শণ করে আসছিলেন। ওই আইনের বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি গত তিনমাসে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে জেলা শহরকে বিজ্ঞানমুক্ত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় আমরা গত তিনমাসে জেলা সদরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ১৩৩টি মামলা দায়ের করি। এর মধ্যে গত ২৭ মে পর্যন্ত আমি ১০৭টি মামলায় ১৯ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করি। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোহরা সুলতানা ১৬টি মামলায় এক হাজার আটশত টাকা জরিমানা আদায় করেন।’
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে পুরো জেলা শহর তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন মুক্ত হয়েছে।এটি তামাক ও তামাকজাত পন্যের বিজ্ঞাপনমুক্ত দেশের প্রথম শহর।’
জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন বলেন, ‘আমরা নীলফামারীকে তামাকমুক্ত করতে ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন বন্ধে কাজ করছি। জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে ও আইনের মাধ্যমে এরইমধ্যে জেলা শহরকে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে গোটা জেলাকে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন মুক্ত করতে সক্ষম হবো বলে আশা প্রকাশ করছি।’
বাসস/সংবাদদাতা/১৭৩৫/এমকে