বাংলাদেশ দলের সুপার ফ্যান শোয়েব আলী

232

ঢাকা, ৩০ মে ২০১৯ (বাসস/এএফপি) : বেপরোয়া সময় মাঝে মধ্যে সাহসী উপায় বের করে দেয়। এমনই একটি সাহসী মুহূর্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বর্ণিল সুপারফ্যান শোয়েব আলীকে বিশ্বব্যাপী দলকে অনুসরণ করার উপায় বের করে দিয়েছে।
ঢাকার ৩১ বছর বয়সী এই গাড়ি মিস্ত্রি যিনি এখন চেহারা ও দেহে টাইগারের রং মেখে গ্যালারিতে কাটানোর জন্য সারা বিশ্ব পরিচিতি লাভ করেছেন। এক সময় ক্রিকেট খেলা দেখার জন্য নিজেকে আহত করেছেন, উৎসর্গ করে দিয়েছেন নিজের জীবনকে।
তবে ওই ত্যাগের চেয়ে বেশী কিছু অর্জন করেছেন শোয়েব আলী। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে উৎসাহিত করার জন্য মাঠে উপস্থিত থাকার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। আগামী রোববার দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ।
ফাস্ট বোলার শাহাদাৎ হোসেনের গাড়ি ঠিক করে দেয়ায় তার কাছ থেকে ক্রিকেট খেলা দেখার একটি টিকিট পেয়েছিলেন আলী। এটিই ছিল তার জীবনের প্রথম মাঠে এসে ক্রিকেট উপভোগ করা। সেটইি এখন তার জীবনের মাইল ফলক হয়ে রয়েছে।
এশিয়া কাপের ওই ম্যাচে সফরকারী ভারতকে ৫ উইকেটে পরাজিত করেছিল বাংলাদেশ। যে ম্যাচে শততম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন ভারতের কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান শচিন টেন্ডুলকার।
শোয়েব আলী বলেন, ‘বাংলাদেশ জয় পাওয়ায় আমি স্টেডিয়ামে বসেই কেঁদে ফেলেছিলাম। এ সময় দেখলাম ভারতীয় দলের বিখ্যাত সমর্থক সুধীর গৌতমকে।’ ভারতীয় দলের এই সুপার ফ্যান এ সময় তার দেহ ও মুখ জাতীয় পতাকার রঙ্গে রাঙ্গিয়ে গ্যালারিতে হাজির হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘এর পরই আমি সিদ্ধান্ত নেই, তার মত হব এবং বাংলাদেশ দলের সবগুলো ম্যাচ দেখব।’ এরপর থেকে ১৩ বছর বয়সে স্কুল ছেড়ে দেয়া আলী ঘরের মাঠে একটি মাত্র ম্যাচ মিস করেছেন। বিদেশের মাটিতে আলী প্রথম ম্যাচটি দেখেছেন ২০১৩ সালে। শ্রীলংকার মাটিতে প্রথমবারের মত বাংলাদেশ টেস্ট হার এড়াতে সক্ষম হয়েছিল।