অসংক্রামক রোগের কারণে বিশ্বে ৭০ ভাগ মানুষের মৃত্যু হয়

366

ঢাকা, ২৯ মে, ২০১৯ (বাসস) : অসংক্রামক রোগের কারণে বিশ্বব্যাপী শতকার ৭০ ভাগের বেশি মানুষের মৃত্যু সংঘটিত হয়। তবে বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ মানুষই এই অসংক্রামক রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে।
‘বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগের ঝুঁকিসমূহের জরিপ-২০১৮’ এর ফলাফল থেকে এই তথ্য জানা গেছে। আজ বুধবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
‘স্টেপস জরিপ-২০১৮’ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর এনসিডিসি বিভাগের আর্থিক সহয়তায় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কারিগরি সহায়তায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিড অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন (নিপসম) এই জরিপ পরিচালনা করে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জরিপের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন।
জরিপের ফলাফল থেকে জানা গেছে, অপর্যাপ্ত শাকসবজি ও ফলমুল গ্রহণ, অপর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম, স্থুলতা, উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিক, অতিরিক্ত লবন গ্রহণ, তামাক সেবন, রক্তে চর্বি, অতিরিক্ত মদ্যপান বাংলাদেশের প্রাপ্ত বয়স্কদের অসংক্রামক ব্যাধির ঝুঁকি হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। তবে বাংলাদেশের ৭০.৯ ভাগ মানুষ একটি বা দুটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ তিনটি বা চারটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
জরিপে উঠে আসা অসংক্রামক রোগের সামগ্রিক ঝুঁকিগুলোর মধ্যে রযেছে- প্রতিদিন ধূমপান, দৈনিক ৫ প্রমাণ মাপের (নির্দিষ্ট কৌটা পরিমাণ) কম ফল ও সবজি গ্রহণ, অপর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম, অতিরিক্ত ওজন, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চমাত্রার রক্তের চর্বি।
ফলাফলে জানাগেছে, বাংদেশের ৯৭ শতাংশ মানুষই অসংক্রামক রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। মাত্র ৩ শতাংশ মানুষ অসংক্রামক রোগের ঝুঁকিতে নেই। ১৮ থেকে ৬৯ বছর বয়সীদের মধ্যে এই ছয় ধরনের মধ্যে কোনো ধরনের ঝুঁকি নেই এমন মানুষের হার মাত্র ৩ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের ১ দশমিক ৯ ও নারীর হার ৪ শতাংশ।
এর মধ্যে একটি বা দুটি ঝুঁকি রয়েছে এমন মানুষের হার ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ (পুরুষ ৬৮ দশমিক ৫ শতাংশ ও নারী ৭৩ দশমিক ১ শতাংশ) ও দুই বা ততোধিক ঝুঁকি রয়েছে ৪০ দশমিক ১ শতাংশ (পুরুষ ৩৯ দশমিক ৪ শতাংশ ও নারী ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ) মানুষের।
জরিপে বলা হয়েছে, উপরের ছয়টির মধ্যে তিনটি বা এর বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে ২৬ দশমিক ২ শতাংশ (পুরুষ ২৯ দশমিক ৬ শতাংশ ও নারী ২২ দশমিক ৮ শতাংশ) মানুষ।