মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল

171

ফেনী, ২৯ মে, ২০১৯ (বাসস) : ফেনীর সোনাগাজীর সিনিয়র ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
নুসরাত হত্যাকান্ডের সাঙ্গে ১৬ জনের সম্পৃক্ত থাকায় তাদেরকে অভিযুক্ত করে আজ বুধবার ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন, মাদ্রাসা অধ্যক্ষ এসএম সিরাজউদ্দৌলা (৫৭), নুর উদ্দিন (২০), শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), মাকসুদ আলম ওরফে মোকসুদ আল কাউন্সিলর (৫০), সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের (২১), জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ (১৯), হাফেজ আব্দুল কাদের (২৫), আবছার উদ্দিন (৩৩), কামরুন নাহার মনি (১৯), উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা (১৯), আব্দুর রহিম শরীফ (২০), ইফতেখার উদ্দিন রানা (২২), ইমরান হোসেন ওরফে মামুন (২২), মোহাম্মদ শামীম (২০), রুহুল আমিন (৫৫) ও মহিউদ্দিন শাকিল (২০)।
মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানির অভিযোগে রাফির মা বাদি হয়ে মাদ্রসা অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌল্লার বিরুদ্ধে গত ২৭শে মার্চ সোনাগাজী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে সোনাগাজী থানা পুলিশ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌল্লাকে গ্রেফতার করে।
এ মামলা প্রত্যাহারের জন্য রাফি ও তার পরিবারের উপর চাপ প্রয়োগ করে অধ্যক্ষের লোকজন। এতে ব্যর্থ হয়ে গত ৬ এপ্রিল রাফি আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে তাকে কৌশলে মাদ্রসার ছাদে ডেকে নিয়ে মামলা প্রত্যাহারের জন্য আসামীরা চাপ দেয়। পরে পরিকল্পিতভাবে রাফির হাত পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে রাফি অগ্নিদগ্ধ হয়। তাকে প্রথমে ফেনী সদর হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১০ এপ্রিল রাতে রাফি মারা যায়।
পরে এ মামলার তদন্তভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) কে দেয়া হয় এবং সোনাগাজী থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়।
এদিকে আগামীকাল এ মামলার পূর্ব নির্ধারিত ধার্য্য তারিখে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে প্রেরণ করা হবে।