বাসস দেশ-২২ : গার্মেন্টস শিল্পে জন্য সরকারের গঠিত সংস্কার সমন্বয় সেল পুরোদমে কাজ শুরু করেছে : শ্রম প্রতিমন্ত্রী

270

বাসস দেশ-২২
মন্নুজান-সাক্ষাৎ
গার্মেন্টস শিল্পে জন্য সরকারের গঠিত সংস্কার সমন্বয় সেল পুরোদমে কাজ শুরু করেছে : শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৮ মে, ২০১৯ (বাসস) : শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, গার্মেন্টস শিল্প কারখানার জন্য সরকারের গঠিত সংস্কার সমন্বয় সেল পুরোদমে কাজ শুরু করেছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত মিজ সিডসেল ব্লেকেন আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে সাক্ষাত করতে গেলে প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে এ কথা জানান।
বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এসময় বলেন,একর্ড-এলায়েন্সে যাবার পর আরসিসি’র প্রকৌশলীগণ তাদের কাজটি ভালভাবে চালিয়ে নিতে পারবে। ইতোমধ্যে একশ’ ২০ জন প্রকৌশলীকে নিয়োগ দিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন,সরকার গতবছর বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন করেছে, আগে যেখানে ৩০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থনে ট্রেড ইউনিয়ন করতে পারতো,এখন ২০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থনে ট্রেড ইউনিয়ন করতে পারবে।
সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রদূত গ্রামীণ ফোনের ব্লু কালার ক্যাটাগোরিতে কর্মরতদের ট্রেড ইউনিয়ন করার বিষয়ে জানতে চান। এ বিষয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা কোন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দিতে পারেন এবং যারা কাউকে চাকুরী থেকে অবহ্যতি দেবার ক্ষমতা রাখেন এক কথায় যার প্রশাসনিক ও ব্যবস্থাপকীয় দায়িত্বে নিয়োজিত তারা ম্যানেজমেন্ট, তাদের ট্রেড করার সুযোগ নেই। তারা বাদে যারা প্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিক তারা সবাই ট্রেড ইউনিয়ন করতে পারেন। এছাড়া আউটসোসিংয়ে কর্মরতদের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ পর্যন্ত তাদের কোন ট্রেড ইউনিয়ন গঠিত হয়নি। তিনি বলেন, কারা শ্রমিক আর কারা শ্রমিক নয়, কারা ইউনিয়ন করতে পারবেন আর কারা পারবেন না তা বাংলাদেশ শ্রম আইনে স্পষ্ট বলা আছে। এ বিষয়ে কোন অস্পষ্টতা নেই।
সাক্ষাতে কল-কারখানায় শোভন কর্ম পরিবেশ নিশ্চিতে দু’পক্ষই সামাজিক সংলাপের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। আগামীতে সামাজিক সংলাপের ওপর নরওয়ে সরকার আরো কাজ করতে আগ্রহী বলে রাষ্টদূত জানান। আলোচনায় বাংলাদেশের শিল্প উন্নয়ন বিশেষ করে গামেন্টর্স শিল্পের কর্ম পরিবেশের উন্নয়নে নরওয়ে সরকারের সহযোগীতার বিষয়টি উঠে আসে। আগামীতে বন্ধুপ্রতিম দু’দেশের সম্পর্ক আরো
মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব কে এম আলী আজম, অতিরিক্ত সচিব (আইও) সৈয়দ আহম্মদ এবং শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একেএম মিজানুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৯২০/-আসচৌ