বাসস দেশ-১ : লিগ্যাল এইড অফিসের কার্যক্রমে ডিজিটাল ডাটাবেস স্থাপন শুরু

181

বাসস দেশ-১
লিগ্যাল এইড-ডাটাবেইস
লিগ্যাল এইড অফিসের কার্যক্রমে ডিজিটাল ডাটাবেস স্থাপন শুরু
ঢাকা, ১৪ জুন, ২০১৮ (বাসস) : জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থায় (লিগ্যাল এইড অফিস) দ্রুততম সময়ে সরকারী আইনি সেবা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ডিজিটাল ডাটাবেস স্থাপন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার সহকারি পরিচালক ও সিনিয়র সহকারি জজ কাজী ইয়াসিন হাবিব বাসস-এর সঙ্গে আলাপকালে বলেন, “জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের কার্যক্রম ডিজিটাল করতে পাইলট ভিত্তিতে দেশের ৭টি জেলা অফিস অটোমেশন ও ডিজিটাল ডাটাবেইস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সংস্থা এ প্রকল্পের আওতায় একটি সেন্ট্রাল ডাটাবেস স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে যাতে পর্যায়ক্রমে সংস্থার অধীন সব অফিস যুক্ত হবে। যার মাধ্যমে কার্যক্রম তাৎক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।”
তিনি বলেন, সরকারী আইনি সেবা কার্যক্রম তথা লিগ্যাল এইড সেবা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার নিমিত্তে সংস্থা দেশের সব জেলায় প্রচরণামূলক সেমিনার ও বিভিন্ন কর্মশালা এবং সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করছে। ৬৪ টি জেলায় এখন লিগ্যাল এইড সেবার ব্যাপ্তি রয়েছে। পার্বত্য জেলার পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারী এ আইনি সেবা নিশ্চিতকরণেও বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তিনি জানান, “বিচার পাওয়ার অধিকার, পাহাড়-সমতলে আছে সবার”-এ স্লোগানকে উপজীব্য করে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
দেশের দরিদ্র ও অস্বচ্ছল জনগোষ্ঠী, শ্রমিক, সহিংসতার শিকার নারী-শিশু এবং পাচারের শিকার মানুষের জন্য আইনি সেবা নিশ্চিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০০ সালে আইন প্রণয়নের মধ্যদিয়ে এর যাত্রা শুরু করে। পরে এই আইনের অধীনে বিভিন্ন বিধি প্রণীত হয়। বিধিতে কারা আইনি সহায়তা পাবেন তা নির্ধারণ করা হয়। দেশের সবক’টি জেলা আদালত, চৌকি আদালত এবং সুপ্রিমকোর্টে লিগ্যাল এইড সার্ভিস চালু রয়েছে।
ইয়াসিন হাবিব জানান, গত ২৮ এপ্রিল দেশে ষষ্ঠবারের মতো ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ পালিত হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল- ‘উন্নয়ন আর আইনের শাসনে এগিয়ে চলছে দেশ/ লিগ্যাল এইডের সুফল পাচ্ছে সারা বাংলাদেশ।’ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপি পালিত হয়। তিনি জানান, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসগুলোকে এখন শুধু আইনি সহায়তা প্রদানের কেন্দ্র হিসেবেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়নি, মামলা জট কমানোর লক্ষ্যে এ অফিসগুলোকে ‘এডিআর কর্ণার’ বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় লিগ্যাল এইড অফিসার নিয়োগ হচ্ছে। লিগ্যাল এইডের সুফল পৌঁছে দিতে এর কার্যক্রম জোড়দার করা হচ্ছে।
বাসস/এএসজি/ডিএ/১৩৫০/এমএবি