বাসস ক্রীড়া-১০ : বিশ্বকাপ মিশনে আফগানিস্তানের বড় প্রেরণা রশিদ খান

164

বাসস ক্রীড়া-১০
ক্রিকেট-বিশ্বকাপ-রশিদ-আফগানিস্তান
বিশ্বকাপ মিশনে আফগানিস্তানের বড় প্রেরণা রশিদ খান
কাবুল, ২৭ মে ২০১৯ (বাসস/এএফপি) : নবাগত ক্রিকেট দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তানের উত্থান চোখে পড়ার মত এবং এক্ষেত্রে তাদের সত্যিকারের তারকা হতে পারেন রশিদ খান। যিনি দলটিকে পরের ধাপে নিয়ে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে টি-২০ বোলিং র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে থাকা এ ২০ বছর বয়সি হয়ে উঠতে পারেন আসন্ন বিশ্বকাপে দলের একটি বড় অস্ত্র। তিনি ছাড়া আফগানিস্তানকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন ১৮ বছর বয়সি স্পিনার মুজিব উর রহমানও। কিন্তু রশিদ হচ্ছেন টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ ক্রিকেটে দেশটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। সংক্ষিপ্ত ভার্সনের পাশাপাশি নানগারহারে জন্মগ্রহণ করা রশিদ ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়েও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।
উইকেট শিকারে দক্ষ হিসেবে রশিদ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার মুল কারণ হচ্ছে তিনি বল হাতে মার খাওয়াকে ভয় পান না। ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-২০ ক্রিকেটে অংশ নিয়ে উইকেট পেয়েছেন তিনি। রশিদ যে বলকে খুব বেশী ঘোরাতে পারেন তা নয়। কিন্তু সুক্ষ্ম চিন্তাশক্তি দিয়ে ব্যাটসম্যানকে বুঝার অসাধারণ এক দক্ষতা রয়েছে তার।
২০১৭ সালে ১৬টি ওয়ানডেতে ৪৩টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন রশিদ। এ বছর যা পাকিস্তানের হাসান আলীর পর দ্বিতীয় সংখ্যা। ২০১৮ সালে ২০ ম্যাচে নিয়েছেন ৪৮ উইকেট।সবচেয়ে দ্রুততম মাত্র ৪৪ ম্যাচে একশ উইকেট শিকারের মাইলফলক স্পর্শ করে রশিদ পিছনে ফেলেছেন অস্ট্রেলিয় পেসার মিশেল স্টার্কের রেকর্ড।
একজন বোলার হিসেবে রশিদের গুরুত্বের কথা স্বীকার করেন আফগানিস্তান কোচ ফিল সিমন্সও। তিনি বলেন, ‘মনের দিক থেকে রশিদ ৩০ বছর বয়সী। তার কাছ থেকে ঠিক কি প্রত্যাশা সেটা সে জানে। ’
রশিদকে ‘গো টু ম্যান’ হিসেবে দেখতে চান সাবেক অধিনায়ক আসগর আফগান। ২০১৮ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে রশিদ ১০ উইকেট শিকার করে বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান ও ভারতের কুলদ্বীপ যাদবের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষ সংগ্রহকারী হন।
আসগর বলেন, ‘রশিদ হচ্ছে আমাদের প্রধান বোলার। বিশ্বকাপে তিনি হয়ে উঠতে পারেন মুল্যবান সম্পদ, একজন সত্যিকারের গেম চেঞ্জার এবং তিনি তার দায়িত্ব সম্পর্কে জানেন।’
রশিদ নিজেও আফগানিস্তানের হয়ে ব্যবধান গড়ে দেয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন,‘ সেরা হবার জন্য আপনাকে নিজের দক্ষতার প্রতি আস্থা রাখতে হবে। এশিয়া কাপে আমরা সম্পূর্ণ ভিন্ন ধর্মী খেলেছি, সেখানে প্রমাণ করেছি যে কোন দলকেই আমরা হারাতে পারি।’
তিনি আরো বলেন, ‘একমাত্র বিষয় হচ্ছে আপনার দক্ষতার ওপড় আস্থা রাখা। বড় ম্যাচে নির্ভার থাকতে হবে এবং নিজের খেলাটাকে উপভোগ করতে হবে। এভাবেই আমাদের বিশ্বকাপে খেলতে হবে।’
বাসস/এএফপি/এমএইচসি/১৮১৫/মোজা/স্বব