বাসস রাষ্ট্রপতি-১ : স্বাস্থ্য খাতের অগ্রগতি ধরে রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান রাষ্ট্রপতির

164

বাসস রাষ্ট্রপতি-১
আবদুল হামিদ-মাতৃত্ব দিবস
স্বাস্থ্য খাতের অগ্রগতি ধরে রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান রাষ্ট্রপতির
ঢাকা, ২৭ মে, ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বে রোলমডেল উল্লেখ করে এ অগ্রগতি ধরে রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।
আগামীকাল ২৮ মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ আহবান জানান।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস-২০১৯ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য-‘মর্যাদা ও অধিকার, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসূতি সেবায় অঙ্গীকার’, যা খুবই অর্থবহ ও যথাযথ হয়েছে বলে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, একটি সুন্দর ও অর্থবহ জীবনের জন্য নিরাপদ মাতৃত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ গুরুত্ব অনুধাবন করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে ২৮ মে দিনটিকে ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেন। বর্তমান সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ৫ বছর মেয়াদি ৪র্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। জরুরি প্রসূতি সেবা কার্যক্রমসহ মা ও শিশুস্বাস্থ্যের উন্নয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের ৬ মাসব্যাপী সিএসবি প্রশিক্ষণ, মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কিম ও ৩ বছর মেয়াদি মিডওয়াইফারি কোর্স চালু করা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় স্তন্যদানকারী দরিদ্র মায়েদের বিশেষ ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। বিগত এক দশকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতে বিশেষ করে মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হ্রাসে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোলমডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তিনি স্বাস্থ্যখাতের এ অগ্রগতি ধরে রাখতে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, সুশীল সমাজ, পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, নিরাপদ প্রসব প্রতিটি মায়ের অধিকার। যথাযথ মর্যাদা, আন্তরিকতা ও সম্মানের সাথে মায়েদের বৈষম্যহীন সেবা প্রদান সংশ্লিষ্ট সবাইর নৈতিক দায়িত্ব। নিরাপদ প্রসবের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের বিকল্প নেই।
তিনি আশা প্রকাশ করেন প্রতিটি সেবাদানকারী, পরিবারের সদস্যবৃন্দ প্রসব পরিকল্পনার মাধ্যমে গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দক্ষ সেবাদানকারীর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করবেন। নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উদযাপনের মাধ্যমে মা ও শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ে সকলের সচেতনতা বৃদ্ধি পবে এবং সেবার মান বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহজতর হবে।
তিনি ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস-২০১৯’ এর সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
বাসস/তবি/এমআর/১৭১৫/-আসচৌ