বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ : মায়েদের জরুরি সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিতে আন্তরিক হওয়ার আহবান প্রধানমন্ত্রীর

135

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪
শেখ হাসিনা-নিরাপদ মাতৃত্ব
মায়েদের জরুরি সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিতে আন্তরিক হওয়ার আহবান প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা, ২৭ মে, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অবাধ তথ্য প্রদান প্রতিটি মায়ের মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে এ অধিকার সংরক্ষণে সবাইকে আন্তরিক হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ।
আগামীকাল ২৮ মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহাবান জানিয়ে আরো বলেন, এছাড়া সেবা প্রদানে মায়ের অনুভূতি, পছন্দ, গোপনীয়তা, ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, বৈষম্যহীন আন্তরিক সেবা নিশ্চিত করাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
প্রতি বছরের মতো এবারও ২৮ মে দেশব্যাপী ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস-২০১৯’ পালন করা হচ্ছে জেনে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মর্যাদা ও অধিকার, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসুতি সেবায় অঙ্গীকার’, যা অত্যন্ত সময়োপযোগী ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, মাতৃস্বাস্থ্য, নিরাপদ প্রসব, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সেবার গুণগত মান বৃদ্ধি সম্পর্কে মা, পরিবার, স্বাস্থ্য সেবাদানকারীসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই দিবসটির মূল উদ্দেশ্য।
শেখ হাসিনা বলেন, বিগত দশকে বাংলাদেশে মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। প্রধান স্বাস্থ্যসূচক শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যু ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ ২০৩০ সালের মধ্যে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ (এসডিজি) অর্জনের মাধ্যমে মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লক্ষ জীবিত জন্মে ৭০ এর নীচে এবং নবজাতকের মৃত্যুর হার প্রতি হাজার জীবিত জন্মে ১২তে নামিয়ে আনা।’
তিনি বলেন, এই চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে জাতীয় ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও রূপকল্প ২০২১ এর আলোকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ৪র্থ স্বাস্থ্যসেক্টর কর্মসূচি (২০১৭-২২) বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এতে মাতৃস্বাস্থ্য ও নবজাতকের স্বাস্থ্যের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। সর্বোচ্চ গুণগত মান বজায় রেখে সেবার পরিধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন হাসপাতাল নির্মাণ, শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি, চিকিৎসক, নার্স, মিডওয়াইফ ও অন্যান্য জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়ন দেশ ও জাতীয় উন্নয়নের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বর্তমান সরকার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে প্রসবপূর্ব, প্রসবকালীন, প্রসবপরবর্তী ও নবজাতকের পরিচর্যার উন্নয়নে জরুরি প্রসূতি সেবা কর্মসূচি ও নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩ বৎসর মেয়াদি ‘মিডওয়াইফারী কোর্স’ চালু করেছে। নবজাতকের জন্য ‘জাতীয় নবজাতক স্বাস্থ্য কর্মসূচি’ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
তিনি ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস-২০১৯’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
বাসস/তবি/এমআর/১৭১০/-আসচৌ