ঈদ উপলক্ষে রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার : ডিএমপি কমিশনার

298

ঢাকা, ২৬ মে, ২০১৯ (বাসস) : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ঈদকে কেন্দ্র কওে রাজধানীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঈদকে ঘিরে মার্কেট, শপিং মল, বাস টর্মিনাল, লঞ্চ ঘাট ও রেল স্টেশনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন এবং পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ঈদবস্ত্র বিতরণকালে একথা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো: আবদুল বাতেন, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) আশরাফুজ্জামান, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) শেখ নাজমুল আলম, তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আহম্মাদ সহ ডিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন বিপণী-বিতানে নগরবাসী যাতে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা করে নিরাপদে বাসায় ফিরতে পারে সেজন্য পোশাকে ও সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞান পার্টি, চোর ও ছিনতাইকারী ধরতে গোয়েন্দা নজরদারীও করা হচ্ছে। ঢাকায় ছিনতাই, ডাকাতি ও অজ্ঞান পার্টি তৎপরতা বন্ধ করা হবে, যদি কেউ চেষ্টা করে তাদের কঠোর হাতে দমন করবো।
তিনি বলেন,ঈদে ঢাকা শহর ফাঁকা হয়ে যাবে। এই ফাঁকা ঢাকা শহরে পুলিশের পাহাড়া থাকবে, বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি গার্ড থাকবে আমরাও থাকবো। সবাই মিলে একটা নিরাপত্তা বলয় তৈরি করবো। থাকবে নিরাপত্তা চেকপোস্ট, তল্লাাশি ও রাস্তায় বেরিকেড ব্যবস্থা।
মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে কমিশনার বলেন, মাদক ক্যান্সারের থেকে ভয়াবহ। এই ঢাকা মহানগরীতে মাদক ব্যবসাকে চিরতরে বন্ধ করবো। কেউ যদি মাদকের ব্যবসা করে, মাদক খায় ও মাদকের আখড়া বসায় তাহলে আমাদেরকে জানাবেন। আপনার পরিচয় গোপন রাখা হবে। পরিবারের কেউ মাদকাসক্ত হলে সেই পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাদক ব্যবসা যেই করে পুলিশকে খবর দিন, আমরা তাকে আইনের আওতায় আনবো। আমরা জঙ্গিবাদকে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছি, মাদককেও সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করবো।
ডিএমপি’র তেজগাঁও বিভাগের উদ্যোগে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে এই ঈদ বস্ত্র বিতরণ করা হয়।অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে তেজগাঁও বিভাগে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে ১৫ শত পিস ও মিরপুর বিভাগের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ৪ নম্বর গেইট সংলগ্ন এলাকায় ২ হাজার পিস ঈদবস্ত্র (শাড়ি, লুঙ্গি, ও ছোট বাচ্চাদের পোশাক) বিতরণ করা হয়।