বাসস দেশ-১৮ : হালদায় ৮ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ : ৭০ কোটি কার্প মাছ উৎপাদনের প্রত্যাশা

193

বাসস দেশ-১৮
হালদা- ডিম- কার্প মাছ
হালদায় ৮ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ : ৭০ কোটি কার্প মাছ উৎপাদনের প্রত্যাশা
চট্টগ্রাম, ২৬ মে, ২০১৯ (বাসস) : প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মাছ। মাত্র তিন ঘন্টার ব্যবধানে প্রায় ৮ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ করেছেন সংগ্রহকারীরা। এসব ডিম থেকে রেণু ফুটিয়ে সেখান থেকে ৭০ কোটি কার্প জাতীয় মাছের পোনা উৎপাদন হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
হাটহাজারী উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়ে বাসস কে বলেন ‘হালদা নদী থেকে সংগ্রহ করা ৮ হাজার কেজি ডিম সরকারি ৪টি হ্যাচারি ও সংগ্রহকারীদের ব্যবস্থাপনায় বেসরকারি ১৭৯ টি কুয়াতে রাখা হবে তিন থেকে ৪ দিন।
নিয়মানুযায়ী সেখানে প্রতি ৪০ কেজি ডিম থেকে ১ কেজি রেণূ উৎপাদন করা হবে। সে হিসেবে ৮ হাজার কেজি ডিম থেকে প্রায় ২’শ কেজি রেণু উৎপাদন করা সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে নির্ধারিত হ্যাচারি ও কুয়াতে রেখে ডিম থেকে রেণু ফোটানোর পর নিয়ে যাওয়া হবে নার্সাারি পুকুরে। ডিম সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে এসব রেণু কিনে নিবে পোনা ব্যবসায়িরা। প্রতি কেজি রেণু ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হবে বলে আশা করছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।
প্রতি কেজি রেণু থেকে কমপক্ষে ৪ লাখ মাছের পোনা উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়ে হাটহাজারী উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা আরো বলেন, সেই হিসেবে ২’শ কেজি রেণু থেকে এবার ৮০ কোটি কার্প জাতীয় মাছের উৎপাদন হবে। তবে সেখান থেকে ১০ থেকে ১২ শতাংশ নষ্ট হলেও ৭০ কোটি কার্প জাতীয় মাছের পোনা পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।
অন্যদিকে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মিঠাপানির প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে কার্পজাতীয় (রুই, কাতল, মৃগেল ও কালবাউশ) মা মাছের ডিমের দেখা পান সংগ্রহকারীরা। এর আগে সকাল ৯টায় ‘নমুনা ডিম’ সংগ্রহ করা হয়। তবে পরিমাণে আগের বছরের তুলনায় অনেক কম বলে জানিয়েছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।
হালদার মা-মাছ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে বেশি ডিম সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। তিনি জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে হালদা নদীর রামদাস মুন্সীরহাট, খলিফার ঘোনা, নাপিতের ঘোনা ও আজিমেরঘাট পয়েন্টে ডিম ছাড়ে মা মাছ। চারটি পয়েন্টে মা মাছ ধীরে ধীরে ডিম ছাড়তে শুরু করে। তবে রাত ১২টার দিকে পূর্ণমাত্রায় ছাড়ার পর জেলেরা ডিম সংগ্রহে নেমে পড়েন।
তিনি বলেন, হালদার বিভিন্ন অংশে প্রায় ৪০০ ডিম সংগ্রহকারী ডিম সংগ্রহ করছেন। প্রত্যেকে ১৫-১৬ কেজি করে ডিম ইতোমধ্যে সংগ্রহ করেছেন বলে জেনেছি। কেউ কেউ এর চেয়ে বেশিও করেছেন। তিন ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৮ হাজার কেজির মতো ডিম সংগ্রহ হয়েছে।
রুহুল আমিন বলেন, হালদা নদীতে নির্বিঘ্নভাবে মা মাছ চলাচল করতে ড্রেজার দিয়ে হালদা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ, অবৈধ জাল ও ইঞ্জিন চালিত নৌকা ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়াও হালদা নদীতে নিয়মিত মনিটরিং করা হয়েছে।
বাসস/জিই/এসকেবি/কেসি/১৭৩৩/কেজিএ