বরিশালের বাতাসে আমের মুকুলের সুগন্ধ

409

বরিশাল, ১৬ মার্চ, ২০১৮ (বাসস) : জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আম গাছে মুকুল এসেছে। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে মুকুল-এর সুগন্ধ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক মাস আগেই আবহাওয়াগত ও জাতের কারণেই মূলত আমের মুকুল এসেছে। চলতি মাসের শেষের দিকে প্রতিটি সে সব বাগান মালিকরা ইতিমধ্যেই পরিচর্যাও শুরু করে দিয়েছেন। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন বাগান মালিকরা।
আম বলতে এক সময় উত্তরের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীর আমকেই বোঝাত। কিন্তু আধুনিক প্রজক্তিগত কারণে চিত্র অনেকটা পাল্টে গেছে । দেশের বিভিন্ন জেলাই এখন বাণিজ্যিকভাবে প্রায় সব জাতের আম উৎপাদন হচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ করে লাভবান হওয়ায় চাষীদের আগ্রহ বেড়েছে অনেক। যে কারণে দক্ষিণাঞ্চলের বেশির ভাগ স্থানেই প্রতি বছর কৃষি জমিতে বাড়ছে আমের আবাদ।
জেলার বাকেরগঞ্জ, উজিরপুর ও সদর উপজেলার একাধিক আম চাষী জানান, চলতি বছরে শীতের তীব্রতা অনেটা কম বলেই আম গাছে আগেভাগে মুকুল এসেছে। প্রায় দুই সপ্তাহ তারা আম গাছের প্রাথমিক পর্যায়ের পরিচর্যা শুরু করে দিয়েছেন। আমের মুকুলের মাথাগুলোকে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পানি ছিটানো ও ঔষুধ স্প্রে করেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সদর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন জানান, চলতি বছর প্রায় ১৪শ’ ৬০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ করা হয়েছে। যা বিগত বছরের তুলনায় প্রায় ২শ’ হেক্টর জমি বেশি। উৎপাদিত লক্ষ্যমাত্রা প্রায় হেক্টর প্রতি ৫ থেকে ৬ টন, সর্বমোট ৬ হাজার ৩শ’ মেট্রিক টন হতে পারে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শ্রী রমেন্দ্র নাথ বাড়ৈ জানান, বছরের চলতি মাসেই মূলত আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়। আগাম যেসব গাছে মুকুল এসেছে তা কেবল আবহাওয়াগত ও জাতের কারণে।
তিনি আরো জানান, জেলায় প্রতি বছর আম বাগানের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এরমধ্যে বিশেষ করে উন্নত দেশীয় জাত,আ¤্রপালি, হিমসাগর, গোপালভোগ, ফজলী, হাড়িভাঙ্গা ও ল্যাংড়া জাতীয় আম বেশি রয়েছে।