বাসস দেশ-১৫ : সামুদ্রিক জলসীমায় ২৩ জুলাই পর্যন্ত মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ

121

বাসস দেশ-১৫
মৎস্য আহরণ-নিষিদ্ধ
সামুদ্রিক জলসীমায় ২৩ জুলাই পর্যন্ত মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ
ঢাকা, ২২ মে, ২০১৯ (বাসস) : দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত একটানা ৬৫দিন সকলপ্রকার যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক মৎস্যযান কর্তৃক মৎস্য ও ক্রাস্টিয়ান্স (চিংড়ি, লবস্টার, কাটলফিশ ইত্যাদি) আহরণ সম্পর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এসব তথ্য জানান।
সামদ্রিক মাছের প্রজননকাল হওয়ায় ডিমওয়ালা মাছের নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টিসহ মাছের মজুদ সংরক্ষণ, সুষ্ঠু ও বিজ্ঞানসম্মত সহনশীল আহরণনিশ্চিত করতেই এই নিষেধাজ্ঞারোপ করেছে মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত ২০০ নটিক্যাল মাইল অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত একটানা ৬৫দিন এই মৎস আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে।
ঈদের আগেই জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে জানিয়ে আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, উপকূলীয় ১২টি জেলাধীন ৪২ উপজেলার ৪ লাখ ১৪ মহাজার ৭৮৪টি জেলে পরিবারের মাছ-আহরণ ব্যতিত বিকল্প আয়ের উৎস না থাকায় এবারই প্রথম নিষিদ্ধকালীন ৬৫দিনের জন্য ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় পরিবার প্রতি মাসিক ৪০ কেজি করে মোট ৩৬ হাজার মেট্রিক টন চাল সহায়তা প্রদান করা হবে।
মাছের তিনটি নিষিদ্ধ সময়ের জন্য আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ২২৫ কোটি টাকা বরাদ্দের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ৮ মাস জাটকানিধরোধ এবং ২২দিন মা-ইলিশ সংরক্ষণের মতন ৬৫দিনের জন্যও ভিজিএফ খাদ্যসহায়তার ফলে জেলেপরিবারের খাদ্যসংস্থান হওয়ায় তারা সামুদ্রিক ডিমওয়ালা মাছ ও চিংড়ি আহরণ থেকে বিরত থাকবে এবং ডিমওয়ালা মাছ ও চিংড়ির নিরাপদপরিবেশ সৃষ্টি হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলনে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশে মোট ৪২.৭৭ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হওয়ার মাধ্যমেই দেশ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এই উৎপাদনের মধ্যে সামুদ্রিক মৎস্যখাতরে অবদান ৬.৫৬ লক্ষ মেট্রেকটন, যা দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ১৫.৩৩ শতাংশ।
সংবাদসম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছ উল আলম মন্ডল, মৎস্য অধিদফতরের ডিজি আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ড ইয়াহিয়াসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/এএসজি/বিকেডি/১৬৫৫/কেকে