বাসস দেশ-১৪ : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেয়ার আহবান স্পিকারের

119

বাসস দেশ-১৪
শিরীন শারমিন-ভিডিও কনফারেন্স
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেয়ার আহবান স্পিকারের
ঢাকা, ২২ মে, ২০১৯ (বাসস) : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় প্যারিস ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়ার আহবান জানিয়েছেন।
তার সাথে আজ দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফ্রান্স ন্যাশনাল পার্লামেন্টের সদস্য ও ফ্রান্স বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ গ্রুপের চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল ওবোনোর মতবিনিময়কালে তিনি এ আহবান জানান ।
এ সময় তাঁরা বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংশ্লিষ্ট বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট বিরূপ প্রভাবের নির্মম শিকার। সরকার এ সমস্যা মোকাবেলায় ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস সম্প্রচার, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী মানুষকে যথাসময়ে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর, দ্রুত ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ, উপকূলীয় বাঁধ তৈরি, লবণাক্ত ও খরা সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবন, বাঁধ ও বাঁধ সংলগ্ন চর এলাকায় বনায়নের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী সৃষ্টি, জলবায়ু ট্রাষ্ট ফান্ড গঠন ইত্যাদি পদক্ষেপ সমূহ বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নেই সমাধা করছে। জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাষ্ট ফান্ড গঠন এবং এ বিষয়ে বিশেষ ভূমিকার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘ ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আথর্’ পুরস্কারে ভূষিত করে।
তিনি বলেন, নতুন নতুন মাত্রার প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিরসনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সমন্বিত প্রয়াস আরও প্রয়োজন। এক্ষেত্রে তিনি প্যারিস ঘোষনা অনুযায়ী বাংলাদেশকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়ার আহবান জানান।
শিরীন শারমিন বলেন, জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশ সকরবারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং এ সংক্রান্ত দুটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া সরকার ডেল্টা প্লান ২১০০ গ্রহণ করেছে। অপ্রতুল ভূমি,ঘন বসতিপূর্ণ জনসংখ্যা,জেন্ডার ইস্যু,খাদ্য নিরাপত্তা ইত্যাদি সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে সরকারকে কাজ করতে হয়। তাসত্ত্বেও বাংলাদেশ বন্যা ও সাইক্লোন সফলতার সাথে মোকাবেলা করছে। সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের মাধ্যমে দু’দেশের সংসদ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ড্যানিয়েল ওবোনো বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত উদ্যোগ গ্রহণ না করলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শঙ্কা বাংলাদেশের। তাই আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশকে সোচ্চার হতে হবে। তিনি জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের ভূমিকার প্রসংশা করেন এবং বাংলাদেশের অভিযোজন অভিজ্ঞতা থেকে ঝুঁকির মুখে থাকা রাষ্ট্রসমূহ শিক্ষা নিতে পারে বলে উল্লেখ করেন।
বাসস/সবি/এমআর/১৬৫০/-আসচৌ