বাসস ক্রীড়া-১ : বিশ্বকাপের টাই ম্যাচগুলো

324

বাসস ক্রীড়া-১
বিশ্বকাপ-টাই
বিশ্বকাপের টাই ম্যাচগুলো
ঢাকা, ২২ মে, ২০১৯ বাসস (বাসস) : আগামী ৩০ মে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসে শুরু হতে যাচ্ছে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর। পঞ্চমবারের মত ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠেয় মেগা এ ইভেন্টের আগে বিশ্বকাপে টাই হওয়া ম্যাচগুলোর দিকে দৃষ্টি দেয়া যাক।
একটা টাই ম্যাচকে দুই দিক থেকে বিচার করা যেতে পারেÑ
একÑ কোন একটি দল মনে করে যেহেতু এ ম্যাচের ফল কোন কাজে আসবে না তাই সকল চেষ্টাই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।
দুইÑ একটি দল এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখে। কেননা পরাজয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।
তবে ভক্ত ও সমর্থকদের এটা সবচেয় বেশি আকর্ষণীয় মুহূর্ত যা চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকে।
বিশ্বকাপে টাই হওয়ার চারটি ম্যাচ :
১. দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়া, সেমিফাইনাল ১৯৯৯ বিশ্বকাপ
শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার টাই করতে সক্ষম হওয়া এ ম্যাচটি ১৯৯০ দশকের দর্শকদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকেব। কেননা ম্যাচটি টাই হওয়ার সুবাদেই পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়া মিরাকল ঘটায়। অস্ট্রেলিয়ার ছুঁড়ে দেয়া ২১৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে পারলে প্রথমবারের মত ফাইনালে ওঠার স্বর্ণালী সুযোগ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে। জয়ের জন্য শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার পড়ে ৯ রান, হাতে ছিল ১ উইকেট। এমন অবস্থায় প্রথম দুই বলে দু’টি বাউন্ডারি হাকার দক্ষিণ আফ্রিকার ল্যান্স ক্লুজনার। যাই হোক তবে নন স্ট্রাইক প্রান্তে ছিলেন এ্যালান ডোনাল্ড এবং চতুর্থ বলে হাস্যকর একটা ভুল করে রান আউটের শিকার হন। গ্রুপ পর্বে সুপার সিক্সে পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ফাইনালে ওঠে অস্ট্রেলিয়া।
২. দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম শ্রীলংকা, ম্যাচ নং-৪০, ২০০৩ বিশ্বকাপ
দক্ষিণ আফ্রিকার গায়ে ‘চোকার’ তকমা লাগার যথেষ্ঠ কারণ আছে। প্রোটিয়া ভক্তরা দেখেছে একটি ম্যাচ টাই হওয়ায় কিভাবে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে দল টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েছে। টাই হওয়ার কারণে ২০০৩ বিশ্বকাপেও দলকে বিদায় নিতে হয়েছে। এবার অবশ্য বৃস্টির কারণে তাদের এমন দুর্ভাগ্য। ম্যাচ জয়ের জন্য ৫০ ওভারে ২৬৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামে প্রোটিয়ারা। ৪৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৯ রান সংগ্রহ করে। কিন্তু এমন সময় বৃষ্টি নামলে ডার্ক লুইস ওয়ার্থ পদ্ধতিতে জয় থেকে ১ রান পিছিয়ে পড়ে তারা। সুতরাং ম্যাচটি টাই হয় ২০০৩ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ে প্রোটিয়ারা। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হিসেবে এটা ছিল শন পোলকের শেষ ম্যাচ। ১২৯ বলে ১২৪ রান করে ম্যাচ সেরা হন শ্রীলংকার মারভান আতাপাত্তু।
৩. জিম্বাবুয়ে বনাম আয়ারল্যান্ড, ম্যাচ নং-৫, বিশ্বকাপ ২০০৭
আয়ারল্যান্ড আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করে। আইরিশ ব্যাটসম্যান জেরেমি ব্রে ১৩৭ বলে ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। জবাবে জয় থেকে এক রান দূরে থাকতে জিম্বাবুয়ের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ইসি রেইনসফোর্ড যখন আউট হওয়ার সময় দলের রান ছিল ২২১। জয় পেতে তাদের শেষ বলে দরকার ছিল ১ রান।
৪. ভারত বনাম ইংল্যান্ড, গ্রুপ বি, ম্যাচ নং ১১,২০১১ বিশ্বকাপ
ব্যাঙ্গালুরুতে ২০১১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হয় ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ৪৯.৫ ওভারে ৩৮৮ রানে অল আউট হয় ভারত। এ রান তাড়া করে জয়ের সক্ষমতা ছিল এন্ড্রু স্ট্রসের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ড দলের। ১৪৫ বলে ১৫৮ রানের অসাধারন একটি ইনিংস খেলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। সেঞ্চুরি করেন ভারতের শচিন টেন্ডুলকারও। ১১৫ বলে তিনি করেন ১২০ রান। ম্যাচ জয়ের পথেই ছিল ইংল্যান্ড দল। কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনির নৈপুন্যে ম্যাচটি হয় টাই। জয়ের জন্য শেষ বলে ইংল্যান্ড দলের দরকার পড়ে ২ রান। কিন্তু মিড অফে দাঁড়ানো ইউসুফ পাঠান দ্রুততার বল ফেরত দিলে শেষ বলে মাত্র ১ রান নিতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড। ম্যাচ হয় টাই।
বাসস/স্বব/০৯১৫/মোজা/এএমটি