বাজিস-৪ : খুলনায় জমজমাট হয়ে উঠছে মৌসুমি ফলের বাজার

194

বাজিস-৪
খুলনা- ফলের বাজার
খুলনায় জমজমাট হয়ে উঠছে মৌসুমি ফলের বাজার
খুলনা, ২০ মে, ২০১৯ (বাসস) : মৌসুমি ফলের গন্ধে সহজে অনুমান করা যায় জ্যৈষ্ঠ মাস চলছে। বছরজুড়ে কম বেশি ফল পাওয়া গেলেও এ জ্যৈষ্ঠ মাসেই সবচেয়ে বেশি ফল পাওয়া যায়।এ মাসের অপর নাম মধুমাস।
জেলায় ও নগরীতেও এবার জমে উঠেছে ফলের বাজার। বাঙ্গি, তরমুজ, জাতীয় ফল কাঁঠাল আর আম পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া লিচু, কালো জাম, ক্ষুদিজামে বাজার এখন সরগরম। বাজারে আরও পাওয়া যাচ্ছে রসে ভরা আনারস, আমলকি, আতা, করমচা, জামরুল, বেল, গাব ইত্যাদি ফল। পাকা তাল না পাওয়া গেলেও বাজার এখন ভরে গেছে কাঁচা তালে।
নগরীর বড়বাজারের ফল বিক্রেতা ইমরান হোসেন বলেন, এবছর সরকার আগেভাগে গাছের থেকে ফল পাড়তে নিষেধ করায় এবং কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া ফরমালিনমুক্ত আমসহ বিভিন্ন মৌসুমী ফল পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য ক্রেতারাও ফল কিনছেন বেশি এবং আমরাও লাভবান হচ্ছি। তবে প্রতিটি ক্রেতারা এসে আগে খোঁজেন ফলের উপরে মাছি পড়ছে কিনা। আর এই মাছি না পড়লে ফরমালিন বলে ফল কিনছে না।
খালিশপুর চিত্রালীবাজারের স্থানীয় মৌসুমী ফল বিক্রেতা জসিমউদ্দিন জানান, এবছর আকার ভেদে পাকা কাঁঠাল প্রতিটি ১৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। আনারস প্রতি হালি আকার ভেদে ৮০ থেকে ১৫০ টাকা। লিচু আঁটি ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। গোপালভোগ আম ৮০ থেকে ১৫০ টাকা, গুটি আম ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুলনার বাজারে।
শিশুর জন্য ফল কিনতে আসা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ কলিম উদ্দিন জানান, তার পুত্র বায়না ধরেছে আম এবং লিচু দিতে হবে। শিশুর বায়নার কারণে বাজারে এসেছি ফল কিনতে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের পদক্ষেপের কারণে অপরিপক্ক ফল সংগ্রহ করতে না পারায় বিষ দিয়ে পাকানো ফল বাজারে আসেনি। এবার সরকারের পদক্ষেপের কারনে কিছুটা ভিন্ন পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। ’
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. জহিরুল ইসলাম জানান, শিশু ও বৃদ্ধরা বিষাক্ত রাসায়নিক মিশ্রিত ফল খেয়ে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। বিষ মিশ্রিত ফল সহজে হজম হয় না। এসব ফল খেয়ে আক্রান্ত হন আমশায়, পেটের পীড়া, জন্ডিস, ডায়রিয়ায়। পাকস্থলি ও লিভারের নানারকম অসুখ হতে পারে।
সরকারের একাধিক সংস্থার সূত্রে জানা যায়, মৌসুমি ফলে বিষাক্ত রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহি অফিসারদের (ইউএনও) প্রয়োজনীয় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সরকার ফল সংগ্রহে বাগান পর্যন্ত নজরদারি করেছে। এ কারণে ভোক্তা পর্যায়ে এবার বিষাক্ত রাসায়নিক ছাড়াই ফল আসতে শুরু করেছে।
বাসস/জেডএইচ/১৮৩০/এমকে