বাসস দেশ-১৬ : বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব বলেই দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে বিদেশে খাদ্য রপ্তানীর পরিকল্পনা করছে : কৃষিমন্ত্রী

193

বাসস দেশ-১৬
কৃষিমন্ত্রী-খাদ্য উৎপাদন
বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব বলেই দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে বিদেশে খাদ্য রপ্তানীর পরিকল্পনা করছে : কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ২০ মে, ২০১৯ (বাসস) : কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব সরকার বলেই দেশ শুধু খাদ্যে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়, দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে তা বিদেশে রপ্তানীর পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন কৃষি উপকরণের দাম কয়েক গুণ কমিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পুর্ণ করেছে।
ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক আজ রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ’র থ্রিডি অডিটোরিয়ামে উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তর র্শীষক প্রশিক্ষণ প্রকল্পের (৩য় পর্যায়ে) আওতায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের গাড়ী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশে শিল্পায়নের ফলে কৃষি শ্রমিক দিনে দিনে কমে যাচ্ছে । এজন্য কৃষি যান্ত্রিকীকরণ আপরিহার্য। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে সরকার ৫০ থেকে ৭০ভাগ পর্যন্ত ভর্তূকি দিয়ে থাকে, কৃষি ও কৃষকের প্রয়োজনে যা যা করা দরকার সব করা হবে। সরকার এ ব্যাপারে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে।
তিনি বলেন, কৃষিতে প্রণোদনা বাবদ ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে, বাকি ৩ হাজার কোটি টাকা কৃষি যান্ত্রিকিকরণ ব্যবহৃত হবে।
ড. রাজ্জাক আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ আমরা খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ। এখন আমরা পুষ্টির দিকে নজর দিয়েছি।
ধানের দামের বিষয় উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান করা হবে। কৃষিকে আধুনিকায়ন, যান্ত্রিকীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণ করে কৃষির সকল সমস্যা দূর করা হবে। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে যা যা উল্লেখ রয়েছে তা সব বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, কৃষির উৎপাদনশীলতা নির্ভর করে কৃষি প্রযুক্তির ওপর। কৃষি গবেষণা বিভিন্ন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে থাকে আর কৃষি কর্মকর্তারা এই প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে নিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখে।
সরকারি গাড়ী প্রযুক্তি হস্তান্তারের কাজে ব্যবহারের জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের আহবান জানান কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
কৃষিমন্ত্রী ৮৮টি উপজেলার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের হাতে গাড়ীর চাবি তুলে দেন। পর্যায়ক্রমে সকল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের গাড়ি প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৮-২০২২ মেয়াদি প্রকল্পটি ৩শ’ ১৫ কোটি টাকার। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৮টি জেলার ১০৬টি উপজেলায় ১০৬টি কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ২০ ইউনিয়নে কৃষক সেবা কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পুর্ণ হলে কৃষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ও ফসলের উৎপাদশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মীর নুরুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) সনৎ কুমার সাহা।
বাসস/সবি/এমএএস/১৮২৫/কেএমকে