বাসস দেশ-৩৪ : জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সকল অর্জন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই হয়েছে : আমু

279

বাসস দেশ-৩৪
আমু-সেমিনার
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সকল অর্জন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই হয়েছে : আমু
ঢাকা, ১৯ মে, ২০১৯ (বাসস) : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন সবই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার আরামকে হারাম করে দেশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন।’
আমু আরো বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দেশের যা কিছু অর্জন সবকিছুই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছে। তাঁর (শেখ হাসিনা) নেতৃত্বে এদেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে।
আমির হোসেন আমু আজ দুপুরে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির উদ্যোগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ স্বাধীন করে দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়ে যেতে পারেননি। অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে যখন তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি ঘোষণা করছেন, ঠিক তখনই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।
আমু বলেন, এরপর এই দেশের ইতিহাসকে পেছনের দিকে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল বাংলাদেশকে একটি অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী বাংলাদেশ বানানো এবং নব্য পাকিস্তান সৃষ্টির পথে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অর্জন এদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে দেয়া। শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় রক্তপাত ছাড়া দেশকে সামরিক শাসনমুক্ত করেছেন। গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন।
তিনি বলেন, কোনো দেশে যদি সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখল করে, সেই দেশে বিনা রক্তপাতে, বিনা যুদ্ধে ক্ষমতা নেয়া যায় না। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণেই সামরিক জান্তা স্বৈরশাসকের হাত থেকে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর সম্ভব হয়েছে।
আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছেন, দেশ দিয়েছেন। এই দেশের সীমানা সমস্যা সমাধানের আগেই বঙ্গন্ধুকে হত্যা করা হয়। এই দেশের স্থল সীমানা, জলের সীমানা ছিল না। সেই সীমানার সমস্যা সমাধান, সীমানা নির্ধারণ করলেন শেখ হাসিনা। তিনি ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি বাস্তবায়ন করলেন। পার্বত্য শান্তিচুক্তির মাধ্যমে ৩৫ বছরের রণাঙ্গনে শান্তি প্রতিষ্ঠা করলেন। মাতৃভাষা বাংলার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং উপ-কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও লেখক হারুন হাবীব।
সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ, অর্থনীতিবিদ ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।
বাসস/এমএএস/১৯৩৫/এইচএন