বাসস দেশ-১১ : অভিবাসী কর্মীদের হয়রানি করলে শাস্তি : নুরুল ইসলাম বিএসসি

217

বাসস দেশ-১১
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী-নিরাপদ অভিবাসন
অভিবাসী কর্মীদের হয়রানি করলে শাস্তি : নুরুল ইসলাম বিএসসি
ঢাকা, ১২ জুন, ২০১৮ (বাসস) : প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, অভিবাসী কর্মিদেরকে প্রতারনা বা হয়রানি করলে, সে যেই হোক তাকে শাস্তি পেতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমান। কিন্তু অদক্ষতা, ভাষা জ্ঞান না থাকা, চুক্তিপত্র না বুঝা, দালালের খপ্পরে পড়াসহ নানা কারণে এ সকল নিরীহ ও দরিদ্র মানুষের একটা অংশ প্রতারণার শিকার হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।’
আজ সকাল ১০টায় ঢাকার ইস্কাটনস্থ প্রবাসী কল্যাণ ভবনের ব্রিফিং সেন্টারে দপ্তর ও সংস্থার সাথে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (২০১৮-২০১৯) ও নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে সচেতনতামূলক তথ্য চিত্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যচিত্রটির চিত্রনাট্য, সংলাপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন শ্রম অভিবাসন বিশ্লেষক হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
প্রবাসী কল্যণ মন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশ গমন ইচ্ছুক কর্মীরা যাতে প্রতারণার শিকার না হন সেই লক্ষ্যে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধায়নে নির্মিত হয়েছে নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ক এই সচেতনতামূলক তথ্যচিত্র।’ তিনি নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে সচেতনতামূলক এই তথ্যচিত্রটি বা এর ম্যাসেজগুলো জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য উপস্থিত সাংবাদিকসহ সকলের কাছে অনুরোধ জানান।
নুরুল ইসলাম বিএসসি আরো বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে কাজ করছে। তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে মানুষের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানান।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ড. নমিতা হালদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ জুলহাস, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজা, বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মরণ কুমার চক্রবর্তী এবং তথ্যচিত্রের নির্মাতা হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ড. নমিতা হালদার বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি শতভাগ পূরণের লক্ষ্যে এ মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধিন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করেছে। তিনি আগামীতে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (২০১৮-২০১৯) অনুযায়ি ১০০ তে ১০০ পাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানান।
বাসস/সবি/এমকে/১৬৪০/-কেএমকে