ফেনীর এসপি জাহাঙ্গীর আলম প্রত্যাহার

328

ঢাকা, ১২ মে, ২০১৯ (বাসস) : মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আজ রোববার এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।’
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানাগেছে, ফেনীর পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকারসহ অন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও গাফিলতির প্রমাণ পায় পুলিশ সদর দফতর থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রধান ডিআইজি এস এম রুহুল আমিন গত ৩০ এপ্রিল রাতে পুলিশ সদর দফতরের সংশ্লিষ্ট শাখায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এতে পুলিশ সুপার জাহাঙ্গির আলম সরকার, সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন, এসআই (নিরস্ত্র) মো. ইউসুফ ও এসআই (নিরস্ত্র) মো. ইকবাল আহাম্মদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
নিহত নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে গত ২৭মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম শ্রেণীর আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এসময় তাকে কৌশলে ছাদে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার জোরালো অভিযোগ ওঠে। পরে পুলিশ সদর দফতর থেকে প্রকৃত ঘটনা ও পুলিশের দায় দায়িত্ব নিরুপণে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়।
১০এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত।