বাসস দেশ-২০ : আন্তর্জাতিক সহযোগিরা বাংলাদেশকে উন্নয়নের বিস্ময়কর ভাবছে : পরিকল্পনামন্ত্রী

154

বাসস দেশ-২০
মান্নান-ড্যাফোডিল
আন্তর্জাতিক সহযোগিরা বাংলাদেশকে উন্নয়নের বিস্ময়কর ভাবছে : পরিকল্পনামন্ত্রী
ঢাকা, ১২ মে, ২০১৯ (বাসস) : পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন,গত দশ বছরে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপকভিত্তিক উন্নয়নের কারনে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা বাংলাদেশকে এখন ‘উন্নয়নের বিস্ময়’ হিসেবে বিবেচনা করছে।
তিনি বলেন,‘বিশ্বব্যাংক ও এডিবিসহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা বাংলাদেশকে উন্নয়নের বিস্ময় হিসেবে ভাবছে। প্রতিবছর দেশে বড় আকারের উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়ন হচ্ছে।’
রোববার রাজধানীর ড্যাফোডিল টাওয়ারে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০১৮-১৯: শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রত্যাশা’ বিষয়ক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. ইউসুফ মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যানোর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ড. এম সবুর খান,বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, সীমান্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার হামিদুল হক খান বক্তব্য রাখেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গত দশ বছর ধরে প্রতিবারই পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় বড় আকারের বাজেট জাতিকে উপহার দিয়েছে এবং পরিকল্পিত বিনিয়োগ দেশকে একবিংশ শতাব্দীর উপযোগি করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়তা করছে।
সমাজে এখনও বৈষম্য রয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত দশ বছরে সরকার দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হ্রাস করেছে। ২০০৯ সালে যখন আমরা ক্ষমতায় আসীন হয়, তখন দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৪ শতাংশ, যা এখন ২০ শতাংেশ নেমে এসেছে।
সরকার উন্নয়ন বাজেটে আরো বরাদ্দ দিতে আগ্রহী জানিয়ে মান্নান বলেন,আমরা উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়াচ্ছি। কিন্তু যে পরিমাণ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে,সেটা চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত নয়।
তিনি বলেন, গত দশ বছরে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দের ব্যবধান অনেক কমে এসেছে। আগামী দিনগুলোতে এর ব্যবধান আরো কমে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ বৈদেশিক সহায়তার ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু সেটা এখন একেবারে কমে এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা এখন খুব সতকর্তার সঙ্গে বৈদেশিক সহায়তা নিয়ে থাকি। বর্তমানে বৈদেশিক সহায়তা মোট জিডিপির মাত্র ২ শতাংশ।
তিনি শিক্ষার্থীদেরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা,নিষ্ঠা,নিয়মাবর্তীতা,সাহসিকতা,বুদ্ধিমত্তা এবং নেতৃত্বের গুণাবলীকে আদর্শ হিসেবে লালন করার পরামর্শ দেন।
বাসস/অনুবাদ/জিএম/আরআই/১৭৪০/কেকে