বিএনপি তার রাজনৈতিক সহযোগীদের হারাচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী

349

ঢাকা, ৯ মে, ২০১৯ (বাসস) : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বার বার ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণে ২০ দলীয় জোটের শরীকরা এক এক করে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দল বিএনপি ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেছে।
তথ্যমন্ত্রী বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বলেন, বিশ দলীয় জোটের শরীক দল আন্দালিব রহমান পার্থের দল (বিজেবি) বিএনপি’র একাধিক ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ায় জোট ছেড়ে চলে গেছে এবং আরো কয়েকটি দল তাকে অনুসরন করছে। এ ছাড়া বিএনপি’র কিছু নেতাও দল ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে। তারা বিদেশে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত প্রধান সাজাপ্রাপ্ত দলের দুর্নীতিবাজ নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজনীতি করতে চাচ্ছেন না।
বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ বিপ্লবের ১০৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ (বিএসপি) এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। বিএসপি’র উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জাকির আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এবং আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার ও এমএ করিম প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ১০৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর থেকে রাজনৈতিক অবক্ষয় শুরু হয়। জিয়াউর রহমান দুর্নীতিবাজদের নিয়ে দল গঠন করেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মওদুদ আহমেদ এবং রিজভি আহমেদসহ দলের অনেক শীর্ষ নেতা অন্যান্য দলেন নেতা ছিলেন। তারা শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভে বিএনপিতে যোগ দেন।
তিনি বলেন, লাগাতার ভাবে ভুলের রাজনীতি করায় বিএনপি এখন একটি জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিনত হয়েছে। এ কারণে অনেক নেতাই এখন বিএনপি ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল, একটি বিদেশী আদালতে এটি প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপি’র নেতা একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী। তিনি এখন লন্ডনে বসে দেশে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছেন। সরকার আদালতের রায় কার্যকর করতে তাকে লন্ডন থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তিনি বিএনপিকে একটি রাজনৈতিক দল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার জন্য বিএনপির শীর্ষ নেতাদের প্রতি আহবান জানান।
তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, প্রীতিলতা ভারতীয় উপমহাদেশের একজন বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদি বিপ্লবী ছিলেন। ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে তিনি একজন প্রভাবশালী বিপ্লবী ছিলেন। ঢাকা ও চট্রগ্রামে তার শিক্ষা জীবন শেষে তিনি কলকাতায় বেথুন কলেজে যোগ দেন।
প্রীতিলতা একজন স্কুল শিক্ষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করার পর সূর্যসেনের নেতৃত্বে একটি বিপ্লবী গ্রুপে যোগ দেন। তিনি ১৯৩২ সালে চট্রগ্রামের পাহাড়তলীতে ইউরোপীয় ক্লাবে হামলায় নেতৃত্ব দেন। সে সময়ে হামলা করে ক্লাবটি জ্বালিয়ে দেয়া হয়। তিনি ব্রিটিশ পুলিশের হাতে আটক হবার আগে সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেন।