বাসস দেশ-২২ : সিএমএইচ ঢাকায় শততম সফল ককলিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারী সম্পন্ন

194

বাসস দেশ-২২
ইমপ্লান্ট-সার্জারী
সিএমএইচ ঢাকায় শততম সফল ককলিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারী সম্পন্ন
ঢাকা, ৯ মে, ২০১৯ (বাসস) : ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) সম্প্রতি কোন ঝুঁকি বা জটিলতা ছাড়াই শততম ককলিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারী সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
বর্তমানে ঢাকা সিএমএইচ-এ একটি বিদেশে প্রশিক্ষিত ককলিয়ার ইমপ্লান্ট টিম রয়েছে। ২০১১ সালের ১৭ নভেম্বর সর্বপ্রথম এই অত্যাধুনিক ও দূর্লভ সার্জারী ঢাকা সিএমএইচে সম্পন্ন হয়।
গত ৫ মে শততম ককলিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারী ঢাকা সিএমএইচ এ সফলভাবে সম্পন্ন হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা বলা হয়।
আইএসপিআর জানিয়েছে, বধিরতা বাংলাদেশে একটি বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ¡জুড়ে প্রতি ১৫শ’ জনের মধ্যে এক জন শিশু বধিরতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। সে হিসেবে বাংলাদেশে আনুমানিক সারে ১০ লাখ শিশু মারাত্মক ধরনের বধিরতায় ভূগছে। মাতৃত্বকালীন ইনফেকশন, হোম ডেলিভারী, নিকটতম আত্মীয়দের মধ্যে বিবাহ, টিউবারকুলাস মেনিনজাইটিস, নিওনেটাল জন্ডিস, পুষ্টিহীনতা, হরমোন ও জেনেটিক ডিসঅর্ডার বাংলাদেশে বধিরতার হারকে আরও ত্বরান্বিত করছে।
কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস যা মারাত্বক বা সম্পূর্ণ বধির ব্যক্তিকে সফল সার্জারীর মাধ্যমে শব্দ শুনতে সহায়তা করে। সাধারণত ৮ বছরের নীচে সকল জন্মগত বধির ও বোবা এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে যারা বিগত ১০ বছরের মধ্যে শ্রবণশক্তি হারিয়েছেন, তারা সবাই কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারীর মাধ্যমে শ্রবণশক্তি ফিরে পেতে পারেন।
উন্নত বিশে¡ এই সার্জারীতে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা খরচ হয়ে থাকে। সেনাবাহিনী প্রধানের বিশেষ নির্দেশনায় ও আগ্রহে ঢাকা সিএমএইচ এ নিজস্ব টিম দ্বারা কেবলমাত্র ডিভাইস মূল্য বাবদ আনুমানিক ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়ে থাকে।
২০১৮-২০১৯ অর্থ বছর হতে সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রম ঢাকা সিএমএইচ এ চালু হয়েছে।
সামরিক বাহিনীর রোগীদের পাশাপাশি সকল বেসামরিক রোগীদের জন্য এ সেবা উম্মুক্ত রয়েছে। ফলে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে শ্রবন প্রতিবন্ধিরা কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারীর মাধ্যমে শব্দহীন অন্ধকার জগত হতে শব্দময় আলোকিত জগতে প্রবেশ করবে। শ্রবন প্রতিবন্ধী শিশু ও ব্যক্তি প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্ত হয়ে সুদক্ষ ও সুনাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সমাজ ও জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।
বাসস/আইএসপিআর/এমএন/১৭১৫/- জেজেড