বাসস ক্রীড়া-৬ : টটেনহ্যামের অবিশ্বাস্য জয়ের পিছনে কিছু সংখ্যাতত্ব

120

বাসস ক্রীড়া-৬
ফুটবল-চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
টটেনহ্যামের অবিশ্বাস্য জয়ের পিছনে কিছু সংখ্যাতত্ব
আমস্টারডাম, ৯ মে ২০১৯ (বাসস) : লুকাস মৌরার হ্যাটট্রিকে গতকাল আয়াক্সকে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ৩-২ গোলে পরাজিত করে দুই লেগ মিলিয়ে এ্যাওয়ে গোলের সুবাদে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে টটেনহ্যাম হটস্পার।
মৌরার দ্বিতীয়ার্ধের হ্যাটট্রিকে শেষ মিনিটে স্পারসদের জয় নিশ্চিত হয়। এর আগে প্রথমার্ধে অধিনায়ক মাথিয়াস ডি লিট ও হাকিম জিয়েচের গোলে ২-০ গোলে এগিয়ে গেলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ ব্যবধানে ফাইনালের পথে অনেকটাই কাছাকাছি চলে গিয়েছিল ডাচ জায়ান্টরা। আগামী ১ জুন মাদ্রিদের অল-ইংল্যান্ড ফাইনালে টটেনহ্যামের প্রতিপক্ষ আরেক ইংলিশ জায়ান্ট লিভারপুল।
টটেনহ্যাম-হটস্পার ম্যাচের কিছু সংখ্যাতত্ব এখানে তুলে ধরা হলো :
১-এই প্রথমবারের মত ইউরোপীয়ান কাপ/চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো টটেনহ্যাম।
২-ঘরের মাঠে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে পরাজিত হবার পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে দ্বিতীয় দল হিসেবে তারা ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করলো। এর আগে ১৯৯৫-৯৬ সালে পানাথিনাইকোসের বিপক্ষে আয়াক্স এই ধরনের জয় তুলে নিয়েছিল।
৩-এই নিয়ে তৃতীয়বারের মত দুটি ইংলিশ দল ইউরোপীয়ান কোন আসরের ফাইনালে উঠলো। ১৯৭২ সালের উয়েফা কাপের ফাইনালে স্পারস ও উল্ফস এবং ২০০৮ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড চেলসির মোকাবেলা করেছিল।
৪-চতুর্থ টিনএজার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে গোল করেছেন ডি লিট। এর আগে ১৯৯৬ সালে আয়াক্সের নর্ডিন উটার, ২০০৩ সালে ইন্টারের ওবাফেমি মার্টিনস ও ২০১৭ সালে মোনাকোর কিলিয়ান এমবাপ্পে সেমিফাইনালে গোল করেছিলেন।
৫-পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে হ্যাটট্রিক করলেন মৌরা। ২০১৭ সালে এ্যাথলেটিকোর বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর পর এটাই প্রথম।
৭-চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে দুই কিংবা আরো বেশী গোলে পিছিয়ে থেকে লড়াইয়ে ফিরে আসা কোন ইংলিশ দল হিসেবে টটেনহ্যামের অবস্থান সপ্তম। অন্যান্য কোন দেশের তুলনায় এটা চার বেশী।
৮-ইউরোপীয়ান কাপ কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আটটি ভিন্ন ইংলিশ দলের মধ্যে টটেনহ্যাম একটি।
৫৫-এবারের মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৪টি ম্যাচে আয়াক্স তারকা ডুসান টাডিচ ৫৫তম গোল করলেন।
০-আগের আটটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে নক আউট পর্বে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি আয়াক্স। ১৯৯৬ সালের তাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মিশন শুরু হয়েছিল।
বাসস/নীহা/১৫০০/স্বব