নীলফামারীতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রভাব ফেলছে টিসিবির পণ্য

318

নীলফামারী, ৮ মে, ২০১৯ (বাসস) : জেলায় পবিত্র রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজারে প্রভাব ফেলছে টিসিবির পণ্য সামগ্রি। ন্যায্যমূল্যে ছোলা, মুশুরডাল, সয়াবিন তেল, চিনি ও খেজুর বিক্রি হওয়ায় ক্রেতাদের ভিড় জমছে ডিলারের দোকানে।
জেলায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ডিলার রয়েছেন ২৫ জন। বিভিন্ন সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে এসব ডিলার টিসিবি মালামাল ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করেন।
পবিত্র রমজানে বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত ২৪ এপ্রিল থেকে দু’জন ডিলার ভ্রাম্যমান ট্রাকের মাধ্যমে জেলা শহরের বিভিন্ন জনবহুল স্থানে প্রতিকেজি চিনি ৪৭ টাকা, মুশুর ডাল ৪৪ টাকা, ছোলা ৬০ টাকা, খেজুর ১৩৫ টাকা এবং সয়াবিন তেল প্রতিলিটার ৮৫ টাকা দরে বিক্রয় শুরু করেছেন।
বুধবার সরেজমিনে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে টিসিবির পণ্য বিক্রি হতে দেখা গেছে। দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়কের একটি মোড়ে অভি এণ্টারপ্রাইজ এবং শাহিপাড়ার মোড়ে মেসার্স আব্দুল মান্নান পণ্য বিক্রি করছিলো। এসব স্থানে ক্রেতার ভীড় পরিলক্ষিত হয়েছে।
এসময় ক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ছোলা, চিনি, মশুরডাল এবং সয়াবিন তেল কিনেছি আমি। বাজার দরের চেয়ে প্রতিকেজি ছোলা অন্তত ১০ টাকা, চিনি পাঁচ টাকা, মশুর ডাল ছয় টাকা এবং প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১০ টাকা কম দামে পেয়েছি।’ পবিত্র রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে টিসিবির কার্যক্রমকে তিনি সাধুবাদ জানান।
টিসিবির ডিলার অভি এণ্টারপ্রাইজের মালিক সত্যেন্দ্র নাথ রায় বলেন,‘প্রতিদিনের বরাদ্দ পাচ্ছি চিনি ৫০০ কেজি, ছোলা ৪০০ কেজি, মুশুর ডাল ৩০০ কেজি, সয়াবিন তেল ৫০০ লিটার এবং খেজুর ৩০ কেজি করে। টিসিবির রংপুর ডিপো থেকে একসঙ্গে তিনদিনের করে বরাদ্দের মালামাল সরবরাহ করা হচ্ছে। আমি গত ২৪ এপ্রিল থেকে মালামাল উত্তোলন করে বিক্রি করছি। এবারের সরবরাহ করা মালামালের মান ভালো হওয়ায় বাজারে চাহিদা রয়েছে।’
এ বিষয়ে টিসিবির রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. সুজাউদ্দৌলা বলেন, ‘প্রতিজেলায় ট্রাকে করে জনবহুল জায়গায় ভ্রাম্যমান বিক্রির জন্য দু’জন করে ডিলারকে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। ডিপোতে পণ্য মজুদ থাকা পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’