বাসস দেশ-৩২ : থ্যালাসিমিয়া রোগীদের সহায়তায় বাজেটে থোক বরাদ্দ রাখা হবে : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

252

বাসস দেশ-৩২
থ্যালাসিমিয়া-রোগী-বাজেট
থ্যালাসিমিয়া রোগীদের সহায়তায় বাজেটে থোক বরাদ্দ রাখা হবে : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ৮ মে, ২০১৯ (বাসস) : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, থ্যালাসিমিয়া রোগীদের জন্য চিকিৎসা সহায়তায় বাজেটে থোক বরাদ্ধ রাখা হবে।
তিনি বলেন, থ্যালাসিমিয়া রোগীদের কল্যাণে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বিশেষভাবে কাজ করছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে আগামী বাজেটে থোক বরাদ্দ রাখার চেষ্টা করা হবে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আজ বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশে থ্যালাসিমিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিশ্ব থ্যালাসিমিয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের থ্যালাসিমিয়া ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ডা. সৈয়দা মাসুমা রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের সেবা ও কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার প্রতিটি অসহায় মানুষের পাশে রয়েছে। দেশের ষোল কোটি মানুষ এজন্য তাঁর উপর আস্থা রেখেছেন।
তিনি বলেন, থ্যালাসিমিয়া একটি ভয়াবহ রোগ। দেশের প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ এ রোগের বাহক। থ্যালাসিমিয়া রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় আক্রান্ত রোগীরা অর্থের অভাবে ঠিকমত চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে পারে না।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, উন্নত বিশ্বের দেশসমূহে থ্যালাসিমিয়া নির্মূল হয়েছে। বিয়ের পূর্বে রক্ত পরীক্ষার ম্যাধ্যমে তারা সফলতা পেয়েছে। আমাদের দেশেও বিয়ের পূর্বে বাধ্যতামূলকভাবে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আজ বিশ্ব থ্যালাসিমিয়া দিবস পালিত হচ্ছে। এ বছর দিবসটি প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘অনাগত সন্তানকে দিতে থ্যালাসিমিয়া থেকে সুরক্ষা বিয়ের আগে করুন রক্তে ইলেক্ট্রোফরেসিস পরীক্ষা’।
বর্তমানে দেশে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ষাট হাজার। দেশে প্রতি বছর প্রায় সাত হাজার শিশু থ্যালাসিমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।
বাসস/সবি/বিকেডি/১৯২০/এএএ