বাজিস-৬ : রমজানে চট্টগ্রামবাসীকে নিরবিচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ করছে ওয়াসা

175

বাসস দেশ-২৭
ওয়াসা-রমজান-পানি-সরবরাহ
রমজানে চট্টগ্রামবাসীকে নিরবিচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ করছে ওয়াসা
চট্টগ্রাম, ৮ মে, ২০১৯ (বাসস) : পবিত্র রমজানে চট্টগ্রামবাসীকে নিরবিচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ করছে ওয়াসা। রমজানে পানি সরবরাহ নিশ্চিতে চট্টগ্রাম ওয়াসা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম ওয়াসা ইতিমধ্যে প্রতিদিন ২ মিলিয়ন লিটার পানি উৎপাদনে সক্ষম ৪৬টি গভীর নলকূপ স্থাপন করেছে। পাশাপাশি পুরনো অকার্যকর টিউবওয়েলগুলোও সংস্কার করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৮টি ভিজিলেন্স টিম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৯টি ভাউচার।
চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্র জানায়, নগরীতে দৈনিক ৪৫ কোটি লিটার পানির চাহিদা আছে। এর বিপরীতে চট্টগ্রাম ওয়াসা সরবরাহ করতে পারে ৩৬ কোটি লিটার। রমজানে পানির চাহিদা ১ থেকে ২ কোটি লিটার বেড়ে যায়। ওই হিসেবে চাহিদা হবে ৪৫ থেকে ৪৬ কোটি লিটার। বিভিন্ন মসজিদ এবং যেসব স্থানে ইফতার আয়োজন হয় সেখানেও ভউচারের মাধ্যমে বিনামূল্যে পানি পৌঁছে দিবে ওয়াসা। প্রতিটি ভাউচারের পানি ধারণ ক্ষমতা নয় হাজার লিটার। কোনো এলাকায় দুই ভাউচার গেলে অন্তত ইফতারের সময় ওই এলাকায় পানির কোনো অসুবিধা হবে না।
চট্টগ্রাম ওয়াসা’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ বাসস’কে বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম ওয়াসা প্রতিদিন ৪৫ কোটি লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে ৩৬ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করছে। যা ৬৫ লাখ নগরবাসীর আভ্যন্তরীণ ও বাণিজ্যিক এবং শিল্প প্রতিষ্টানের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মিঠিয়ে চলছে। চট্টগ্রাম শহরের ১৬০ বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে পানি সরবরাহ করছে ওয়াসা। যার এক তৃতীয়াংশ এলাকায় চক্রগতিতে নিয়মিত পানি সরবরাহ করে আসছে।
অন্যদিকে রমজান মাসে স্বাচ্ছন্দে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ও নগরবাসীর অভিযোগ শোনার জন্য ৪টি কন্ট্রোল রুম খুলেছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। গঠন করা হয়েছে ৮টি ভিজিল্যান্স টিম। এবং বিভিন্ন বস্তিতেও বিনামূল্যে সার্বক্ষণিক পানি সরবরাহ করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, ৮টি ভিজিল্যান্স টিমের মধ্যে রমজান মাস জুড়ে ৪টি ভিজিল্যান্স টিম ওয়াসার বিভিন্ন স্থাপনা পর্যবেক্ষণ করবে। বাকি ৪টি ভিজিলেন্স টিম বিভিন্ন বস্তিতে পানির জন্য মানুষের দূর্ভোগ লাগবে কাজ করবে। সরবরাহ লাইনে ত্রুটি দেখা দিলে তা দ্রুত সংস্কারে প্রস্তুতি থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাত ১২টা পর্যন্ত আমাদের টিম থাকবে। যাতে কোথাও কোনো সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে পারি।
অধিকন্তু মানুষের চাহিদামতো দ্রুত পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ১৯টি ভাউচার (পানি বহনকারী গাড়ি) প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে নগরবাসীর পানি সমস্যা সমাধানের জন্য মদুনাঘাট ও রাঙ্গুনিয়া পানি শোধনাগারে দু’টি বড় জেনারেটরসহ ২০ জেনারেটর স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব পানি বিশুদ্ধ রাখা, জীবাণুমুক্ত রাখার চেষ্টা করছি। প্রতি মাসে ২৫০ স্পট থেকে পানি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখি। কোথাও কোনো সমস্যা পাওয়া গেলে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। কোথাও লিকেজের জন্য ময়লা পানি গেলে সেটা নিরসনের জন্য সাথে সাথে কাজ করি।
প্রকৌশলী এ কে ফজলুল্লাহ বলেন, একে তো গরমের দিন, মসজিদেও এ সময় পানি বেশি ব্যবহার হয়। আমরা মনে করি, রমজানে একটু বেশিই পানি লাগে। ২/১ কোটি লিটার বেশি লাগতে পারে। এখন প্রায় ৪৫ কোটি লিটার চাহিদা আছে। এর মধ্যে আমরা ৩৬ কোটি লিটার পানি দিচ্ছি। মানুষের কিন্তু পানির চাহিদা সবসময় একই থাকে না। যদি সাপ্লাই কন্টিনিউ রাখতে পারি, তাহলে কিন্তু ৩৬ কোটি লিটারই পর্যাপ্ত ছিল। সেটাই আমরা চেষ্টা করছি। যাতে কোনো ব্রেক না হয়। আমরা যেভাবে সাপ্লাই করছি, তাতে মনে হয় না রমজানে খুব বেশি সমস্যা হবে। তবুও প্রতিদিন ১০/১২ টা অভিযোগ থাকতে পারে। নগরবাসীর পানি সমস্যার সমাধানে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সকলের সহযোগিতা কামনা করেছে।
বাসস/জিই/এসকেবি/এমএন/১৮১০/অমি