বাসস প্রধানমন্ত্রী-৫
শেখ হাসিনা- বাণী
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি মানবকল্যাণে তাদের কার্যক্রমকে আরো সম্প্রসারিত করবে প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা, ৭ মে, ২০১৯ (বাসস ) : বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি মানবকল্যাণে নেওয়া তাদের কার্যক্রমকে আরো সম্প্রসারিত করবে বলে প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “আমি আশা করি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি মানবকল্যাণে নেওয়া তাদের কার্যক্রমকে আরো সম্প্রসারিত করবে। এছাড়াও, দেশের দরিদ্র ও দুর্যোগ কবলিত মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে এ মানবিক সংগঠটি বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে ব্যাপক অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলে আমি মনে করি।”
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ‘বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন। তিনি এ উপলক্ষে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্বেচ্ছাসেবক, পৃষ্ঠপোষক ও শুভানুধ্যায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় “লাভ’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবকল্যাণে নিয়োজিত বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সবাইকে ভালোবাসার বন্ধনে একত্রিত করে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিপন্ন মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপন্ন মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে এ সোসাইটি।
দেশের দুর্যোগ ঝুঁকি চিহ্নিত করে দুর্যোগপূর্ব বহুমুখী কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে গণসচেতনতা সৃষ্টি করে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সোসাইটির ভূমিকা দৃষ্টান্ত হিসেবে অনুসৃত হচ্ছে বলে তিনি বাণীতে উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মানবকল্যাণে গৃহীত বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির বিভিন্ন কার্যক্রম ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার জনগোষ্ঠীকে সরকারের সহযোগী সংগঠন হিসেবে মানবিক সহায়তা প্রদান করে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
এছাড়াও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পরিচালিত ফিল্ড হাসপাতাল ও ভ্রাম্যমান মেডিকেল ক্যাম্পসমূহ উদ্বাস্তু এসব জনগোষ্ঠীর জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি ঢাকা শহরে সংঘটিত বিভিন্ন অগ্নিকা- মোকাবেলা এবং দেশে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে জনসচেতনতা বাড়াতে রেড ক্রিসেন্টের যুব সদস্যরা ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি কাজ করে যে কর্ম দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যৌথ কর্মসূচি হিসেবে ১৯৭৩ সালে প্রবর্তিত ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) উপকূলীয় এলাকার জনগণের জানমাল রক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস-২০১৯’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
বাসস/তবি/কেসি/১৮০০/কেএমকে
Home 0সকল সংবাদ বাসস প্রধানমন্ত্রী বাসস প্রধানমন্ত্রী-৫ : রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি মানবকল্যাণে তাদের কার্যক্রমকে আরো সম্প্রসারিত...