বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আগ্রহী ভারত

535

ঢাকা, ৬ মে, ২০১৯ (বাসস) : ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানীসহ অন্যান্য খাতে ভারত আরো বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন।
সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলানগ এনইসি সম্মেলনকক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রিভা গাঙ্গুলি ভারত সরকারের এই আগ্রহের কথা জানান।
তিনি বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুপ্রতীম দেশ অভিহিত করে বলেন,পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তিনি মনে করেন, আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধি এ অঞ্চলের সকল দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।
রিভা গাঙ্গুলি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেকার সাম্প্রতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশেষ করে রেল ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরেন। বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের দিকে আরো গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশের প্রকল্প পরিচালনা ব্যবস্থার প্রশংসা করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। সময়ের আবর্তনে এ সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাসের ওপর ভর করে পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ভারতের সাথে বহুবিধ সম্পর্ক গড়ে তুলতে বিশ্বাস, পারস্পারিক স্বার্থ ও সম্মানের ভিত্তিতে নীতি গ্রহণ করেছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সাথে সম্পর্কের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে বাংলাদেশ। তৃতীয় লাইন অফ ক্রেডিটের আওতায় ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণে ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ, রেলপথ, সড়ক, জাহাজ চলাচল, বন্দরসহ অবকাঠামো খাতে ১৭টি অগ্রাধিকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে।অর্থনৈতিক গতিশীলতার কারনে শুধু শহরেই নয়,উন্নয়ন হয়েছে গ্রামীণ জনপদের।
মুস্তফা কামাল বর্তমান সময়কে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগ অভিহিত করে বলেন, আগামীর চাহিদা পূরণে শিক্ষা সংস্কারের মাধ্যমে দক্ষ জনবলের চাহিদা পূরণ করতে। ভারত চাইলে এই খাতে বিনিয়োগ করতে পারে।
তিনি বলেন, ভ্যাট ফাঁকি রোধে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস বা ইএফডি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার লক্ষ্যে ইএফডি ক্রয় প্রক্রিয়া চলছে। তিনি ভারতকে এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
বৈঠকে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ, স্মাট সিটি তৈরি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।