এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৮২.২০ শতাংশ

518

ঢাকা, ৬ মে, ২০১৯ (বাসস) : চলতি বছরে মাধ্যমকি স্কুল সার্টিফিকেট এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষায় ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে এবার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আজ সোমবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলের সার-সংক্ষেপ তুলে ধরেন।
এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।
রেওয়াজ অনুযায়ী প্রতি বছর ফল ঘোষণার দিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলের সার-সংক্ষেপ তুলে দেন বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ। পরে দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী ফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন। কিন্তু এবার প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় শিক্ষামন্ত্রীর হাতে ফল তুলে দেয়া হয়। এরপর লন্ডনে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন করে পাস করা শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ২১ লাখ ২৭ হাজার ৮১৫ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এরমধ্যে ১০ লাখ ৫৯ হাজার ২৮৮ জন ছাত্রী এবং ১০ লাখ ৬৮ হাজার ৫২৭ জন ছাত্র। এর মধ্যে ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৫ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
এ বছর সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর তত্ত্বীয় পরীক্ষা ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হয় ৫ মার্চ।
এবছর শুধু এসএসসিতে পাসের হার ৮২.৮০ শতাংশ। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ১৬ লাখ ৯৪ হাজার ৬৫২ জন, যা গত বছর ছিল ১৬ লাখ ২৪ হাজার ৪২৩ জন। বেড়েছে ৭০ হাজার ২২৯ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৪ লাখ ৩ হাজার ১৫৭ জন। গত বছর পাস করেছিল ১২ লাখ ৮৯ হাজার ৮০৫ জন। বেড়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬১ জন।
এর মধ্যে যশোর বোর্ডে ৯০.৮৮, ঢাকা বোর্ডে ৭৯.৬২, রাজশাহী বোর্ডে ৯১. ৬৪, দিনাজপুর বোর্ডে ৮৪.১০, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭৮.১১, সিলেট বোর্ডে ৭০.৮৩, বরিশাল বোর্ডে ৭৭.৪১ এবং কুমিল্লা বোর্ডে ৮৭. ১৬ শতাংশ পাস করেছে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৭২.২৪ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৭১ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এ বছর পাসের হার বেড়েছে শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ৪ হাজার ৭৫১ জন, গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৪১৩ জন।
আর মাদ্রাসা বোর্ডে ৮৩.০৩ শতাংশ পাস করেছে, যা গত বছর ছিল ৭০. ৮৯ শতাংশ। এ বছর পাসের হার বেড়েছে ১২.১৪। জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ৬ হাজার ২৮৭ জন। গত বছর পেয়েছিল ৩ হাজার ৩৭১ জন।
এছাড়াও এবছর বিদেশের ৮ টি কেন্দ্রে ৪২৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। এর মধ্যে পাশ করেছে ৩৮৯ জন। মোট পাশের হার ৯১. ৯৬ ভাগ। বিদেশ কেন্দ্রে মোট জিপিএ পেয়েছে ৫৬ জন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোতে এ বছরের পরীক্ষায় ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীদের অংশ গ্রহণ ও উত্তীর্ণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে সকল শিক্ষা বোর্ডে ছাত্রের তুলনায় ছাত্রী ২.১৫ ভাগ বেশি পাস করেছে।