বাসস দেশ-২৩ : প্রস্তুতি না থাকার কারণেই ’৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ৫ লাখ লোক মারা গিয়েছিল : আমু

146

বাসস দেশ-২৩
আমু-ফণী
প্রস্তুতি না থাকার কারণেই ’৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ৫ লাখ লোক মারা গিয়েছিল : আমু
ঢাকা, ৫ মে, ২০১৯ (বাসস) : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, কোন প্রস্তুতি না থাকার কারণেই ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ে ৫ লাখ লোক মারা গিয়েছিল।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আজ যারা বড় কথা বলেন, তারা তাদের অভিজ্ঞতার কথা বলেন। সে সময় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারসহ বিপুল পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। তাই তাদের যে কথা, এটা তাদের অভিজ্ঞতার কথা।
আমির হোসেন আমু আজ দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণী’র ক্ষয়ক্ষতি ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও কার্য নির্বাহী সংসদের সদস্য এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, সোমবার সকাল থেকে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে দলীয় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম এবং সরকারের বিতরণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করব।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী দেশে যেভাবে আঘাত হানার আশঙ্কা ছিল সেভাবে আঘাত করে নাই। সেজন্য আমরা কিছুটা স্বস্তিতে আছি। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য দেশের কয়েকটি জায়গায় বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আমু বলেন, সরকারের পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ বিতরণ আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দলীয় নেতা-কর্মী ও সংসদ সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সরকার ও দলের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যতটুকু সহযোগিতা করার প্রয়োজন আমরা ততটুকু প্রস্তুতি নিয়েছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল ও ফোন দিয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। আমি তাদের অভিজ্ঞতা হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অত্যন্ত সুন্দরভাবে বিগত দিনের মতো এবারও মানুষকে বাঁচানোসহ ক্ষয়ক্ষতিরোধে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।
এক প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন আমু বলেন, ফণীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও দলের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য কেন্দ্র থেকে দু’টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির নেতৃবৃন্দ আজকেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় রওনা দেবে। আগামীকাল থেকে তারা ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম দেখাশুনা করবেন।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল যাবে। এ প্রতিনিধিদলে থাকবেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।
এছাড়াও দলের উপদেষ্টা পরিষদেও সদস্য আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বরগুনার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবে। এ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন।
বাসস/নিজস্ব/এমএএস/১৮০০/এসই