বাসস দেশ-৭ : ফেরি ও লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

181

বাসস দেশ-৭
নৌপ্রতিমন্ত্রী-চেক-হস্তান্তর
ফেরি ও লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ মে, ২০১৯ (বাসস) : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র কারণে যাত্রীসাধারণের নিরাপত্তার জন্য বন্ধ করে দেওয়া ফেরি গত রাত থেকে আবার চালু হয়েছে। আজ থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করায় নৌপথে কোন ধরণের ক্ষতি হয়নি।
আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মেরিন একাডেমীর ডেক ক্যাডেট মো. আলি আজগরের পরিবারের নিকট ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, মো. আলী আজগর ২০১৭ সালে মেরিন একাডেমীর ৫১ তম ব্যাচে নটিক্যাল বিভাগ থেকে পাশ করেন। এরপর তিনি ‘মেরিন হাইভ লিমিটেড’ ম্যানিং এজেন্ট থেকে জাহাজে যোগদানের লক্ষ্যে পাঁচ বছরের জন্য চায়নায় উচ্চ প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম এ চুক্তিবদ্ধ হন। তিনি তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবার আগেই দুর্ঘটনায় মারা যান।
ঘুর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুম দিন-রাত খোলা ছিল। কন্ট্রোল রুম থেকে তথ্য পেয়ে জনগণ উপকৃত হয়েছে। মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেছেন। সেজন্য সকলকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে চোখের চিকিৎসারত অবস্থায় দেশের ঘুর্ণিঝড়ের খোজঁখবর নিয়েছেন ও দেশবাসীর কল্যাণ কামনা করায় তাঁর প্রতিও প্রতিমন্ত্রী আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান ।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ডেক ক্যাডেট মো. আলি আজগরের শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত আজগরের পিতা মোঃ আলী আকবর খান এবং মাতা মোছাঃ রাজিয়া আকবরের নিকট জীবন ক্ষতিপূরণের ৮৩ লাখ ৩৮ হাজার ১২৩ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, মৃত ক্যাডেটের পিতা মো. আলী আকবর খান এবং মেরিন হাইভ লিমিটেডের চেয়াম্যান ক্যাপ্টেন শামসুল এ খান বক্তব্য রাখেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, স্থানীয় ম্যানিং এজেন্ট মেসার্স মেরিন হাইভ লিঃ জাহাজ কোম্পানীর নিকট থেকে ক্যাডেট আলী আজগরের মৃত্যুর সংবাদটি জানার সাথে সাথেই বিষয়টি নৌপরিবহন অধিদপ্তর এবং চট্রগ্রামস্থ সরকারী শিপিং ও তার পরিবারকে জানান। স্থানীয় ম্যানিং এজেন্ট মেসার্স মেরিন হাইভ লিঃ কর্তৃক মৃত ক্যাডেটের মরদেহ গত বছরের ১২ অক্টোবর কোম্পানীর নিজ খরচে ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনেন এবং বরগুনায় তার গ্রামের বাড়ীতে দাফনের ব্যবস্থা করেন। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় ম্যানিং এজেন্ট মেসার্স মেরিন হাইভ লিঃ এবং বিভিন্ন ক্যাডেটের সহায়তায় প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকা সংগ্রহ করে মৃত ক্যাডেটের মায়ের নামে ডিপোজিট করা হয়।
পরবর্তীতে স্থানীয় ম্যানিং এজেন্ট মেসার্স মেরিন হাইভ লিঃ এর উদ্যোগে প্রটেকশন এন্ড ইনডেমনিটি ক্লাবের সহযোগিতায় এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশনার মাধ্যমে পারিবারিক ক্ষতিপূরণ হিসাবে ১ লাখ ডলার এর সমপরিমাণ ৮৩ লাখ ৩৮ হাজার ১২৩ টাকা গ্রহণ করা হয়।
বাসস/সবি/এমএন/১৫০০/এমএবি