বাসস ক্রীড়া-৬ : রাশিয়া বিশ্বকাপে অনূর্ধ্ব ২০ আসরের তারকারা

236

বাসস ক্রীড়া-৬
ফুটবল-বিশ্বকাপ-অনূর্ধ্ব ২০ ফুটবলার
রাশিয়া বিশ্বকাপে অনূর্ধ্ব ২০ আসরের তারকারা
ঢাকা, ১১ জুন ২০১৮ (বাসস) : আর মাত্র কদিন পরেই রাশিয়ায় শুরু হতে যাচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপ ফুটবল। ‘গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থকে’ নিয়ে তাই চলছে নানান বিশ্লেষণ। এবারের আলোচনার বিষয় অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপের তারকারা কেমন করবে আসন্ন রাশিয়া বিশ্বকাপে।
মুল আসরে বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্টের অনেক তারকারা যে মহাতারকা হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে নিজেদের আসন প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। যে নামগুলোর অগ্রভাগে থাকতে পারে জেসুস, সিলভা , বেনটেনচার ও আলভারেজের মত তারকারা।
২০১০ সালে বিশ্বকাপ জয়ী স্পেন দলের ১০জন ফুটবলারই ছিল বয়স ভিত্তিক অনুর্ধ-২০ দল থেকে উঠে আসা। এমনকি কিংবদন্তী ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনা, থিয়েরি অঁরি এবং রোনালদিনহোর মত মহা তারকারাও উঠে এসেছে অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপের আসর থেকে। আসন্ন রাশিয়া বিশ্বকাপেও সিনিয়র খেলোয়াড়দের পাশাপাশি সর্বশেষ অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপের এ চার খেলোয়াড় নজর কাড়তে পারেন। সম্ভাবনাময় এই চার তারকাকে নিয়ে আলোচনা করা হল।
গ্যাব্রিয়েল জেসুস (ব্রাজিল/ম্যানচেস্টার সিটি): ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল জন্ম নেয়া এই ব্রাজিলীয় তারকার বয়স বর্তমানে ২১ বছর। ২০১৫ সালের অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপ ফুটবলের এই তারকা এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলে নেইমারের পরেই আলোচনার স্থান দখল করে রয়েছেন। অবশ্য তিন বছর আগেই মাত্র ১৮ বছর বয়সে ব্রাজিলের সেরা একাদশে নিজের অবস্থান গড়ে তুলেছেন। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত যুব বিশ্বকাপে আলো ছড়িয়েছেন এই তারকা। এরপর থেকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দিনে দিনে তিনি আরো সমৃদ্ধ হয়েছেন।
ম্যানচেস্টার সিটিতে তার দুর্দান্ত পারফর্মেন্স সবাইকে মুগ্ধ করেছে। অথচ ২০১৬ সালের গ্রীস্মে তিনি সিটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এবং ক্লাবে যোগ দিয়েছেন ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে। তার সহায়তায় সিটি প্রিমিয়ার লীগে রেকর্ড গোলের মাইল ফলক গড়তে পেরেছেন। সেলেকাও দলেও তার দারুণ অবস্থান রয়েছে। বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে করেছেন ছয় গোল। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে পুরুষ বিভাগের ছয় ম্যাচের তিনটিতেই গোল করেছেন জেসুস।
আন্দ্রে সিলভা (পর্তুগাল/এসি মিলান) : পর্তুগালে ক্রিস্টিয়ানো রোনলদোর যুগে তাকে ছাড়া অন্য কিছু ভাবার কোন সুযোগ নেই। তবে রিয়াল মাদ্রিদের ওই মহাতারকা নিজেই তার উত্তরসুরী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন আন্দ্রে সিলভাকে। যুব দলের পাশাপাশি সিনিয়র দলেও নিজের যোগ্যতার প্রমান দিয়েছেন সিলভা। ২০১৫ সালের নিউজিল্যান্ড আসরে তিনি আদায় করেছেন চার গোল। ২০১৬ উইয়েফা ইউরোর শিরোপা জয়ের পরেই পর্তুগালের সিনিয়র দলে অভিষিক্ত হন তিনি। এ পর্যন্ত ২০ ম্যাচে অংশ নিয়ে আদায় করেছেন ১১ গোল। ২০১৭ সালের জুনে তিনি ইতালীয় জায়ান্ট এসি মিরানে যোগ দিয়েছেন। সেখানে তিনি খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও ক্লাবের হয়ে দক্ষতা প্রমাণের কারণে পর্তুগালের ২০১৮ বিশ্বকাপ মিশনে কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোসের পরিকল্পনার অংশ হয়েছেন সিলভা।
রড্রিগো বেনটানচার (উরুগুয়ে/জুভেন্টাস): ২০ বছর বয়সি এই উদীয়মান তারকা গত বছর অনুষ্ঠিত অনুর্ধ ২০ বিশ্বকাপ ফুটবলে উরুগয়ের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। দলকে চতুর্থ স্থানে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে তার ভুমিকা ছিল প্রশংসনীয়। ফাইনাল ম্যাচের আগেই তিনি জুভেন্টাসের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে সম্মত হন এবং ২০১৭ সালের জুলাইয়ে বোকা জুনিয়র্স থেকে জুভেন্টাসে যোগ দেন।
সিরি এ লীগে ফের শিরোপা জয় করা ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রির জুভেন্টাস দলে অবশ্য বেশীর ভাগ সময় তাকে সাইডলাইনে বসেই কাটাতে হয়েছে। ২০১৭ সালের অক্টোবর বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে সাইড বেঞ্চ থেকেই আন্তর্জাতিক অভিষেক ঘটে বেনটানচারের। এরপর অবশ্য বাছাইপর্বের সবকটি ম্যাচেই দলের অংশ ছিলেন তিনি।
এডসন আলভারেজ (মেক্সিকো/ ক্লাব আমেরিকা) : অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপই মূলত: এডসন আলভারেজকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি এনে দিয়েছেন। যদিও ক্লাব আমেরিকার এই উদীয়মান তারকা অনুর্ধ -২০ দলে যোগ দেয়ার মাত্র ১০ দিন আগে আন্তর্জাতিক অভিষেক পেয়েছেন।
আসরে মেক্সিকোকে শেষ আটে পৌছে দিতে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। এরপর থেকে তিনি ২০১৭ গোল্ডকাপ এবং বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে জাতীয় দলের নিয়মিত অংশ হয়ে যান। মেক্সিকো রাশিয়া বিশ্বকাপের চূড়ান্ত টিকিট লাভ করার পর প্রীতি ম্যাচের স্কোয়াডেও সরাসরি জায়গা দখল করেছেন এডসন।
বাসস/ওয়েবসাইট/এমএইচসি/১৭২০/মোজা/স্বব