বাসস দেশ-২৭ : ফণি’র প্রভাবে বাগেরহাটে প্রচন্ড ঝড়-বাতাস শুরু, অর্ধলাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

553

বাসস দেশ-২৭
ফণি-বাগেরহাট-প্রস্তুতি
ফণি’র প্রভাবে বাগেরহাটে প্রচন্ড ঝড়-বাতাস শুরু, অর্ধলাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে
বাগেরহাট, ৩ মে, ২০১৯ (বাসস) : জেলার মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
প্রচন্ড ঝড়-বাতাসে আতঙ্কিত হয়ে শরণখোলা উপজেলার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রমুখি হয়েছে। উপজেলার ৮৬টি আশ্রয়কেন্দ্র সন্ধ্যার সাথে সাথেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
শরণখোলা উপজেলার খুড়িয়াখালী গ্রামের ইদ্রিস গাজী বাসস’কে বলেন, ‘বাড়ির পাশের চালিতাবুনিয়া, বকুলতলা ও শোনাতলা আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছি। কোথাও তিল রাখার জায়গা নেই। অবশেষে অনেক দূর হেটে তাফালবাড়ি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছি।’
খুড়িয়াখালী গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, সাত কিলোমিটার পায়ে হেটে নলবুনিয়া আশ্রয় কেন্দ্রে এসে ঠাঁই হয়েছে।
খুড়িয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া নাজমা বেগম বলেন, সাইক্লোন শেল্টারে ওঠার পরপরই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছাদুজ্জামান মিলন বলেন, আশ্রয়কেন্দ্র গুলো পূর্ণ হয়ে গেছে। আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ ভবনও খুলে দেয়া হয়েছে বিপদগ্রস্থ মানুষের জন্য। আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রেখেছি। যাতে সাধারণ মানুষের কম ক্ষতি হয়।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার সরকার বলেন, অন্যান্য ঝড়ের থেকে এবছর মানুষ বেশি সচেতন। থানার পাশে একটি কমিউনিটি সেন্টার আছে সেখানেও অনেক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এরপরও আমরা চেষ্টা করছি যাতে উপজেলার সবাই নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিতে পারে।
পুলিশ সুপার পঙ্কজচন্দ্র রায় বলেন, মানুষ স্বতস্ফুর্তভাবে আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে। আমাদের থানা ভবনগুলোতেও মানুষকে নিরাপদে রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের বিপদগ্রস্থ মানুষকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা সদর থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহিন হোসেন বলেন, বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরকারি স্বেচ্ছাসেবকরা মনিটরিং করছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। রাত ৮টা পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি কম হয়।
বাসস/সংবাদদাতা/এমএন/২২১০/-কেকে