বাজিস-২ : ঘুর্ণিঝড় ফণি মোকাবেলায় সাতক্ষীরায় ১১ লাখ টাকা ও ৩১৬ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ

227

বাজিস-২
সাতক্ষীরা- বরাদ্দ-ফনি
ঘুর্ণিঝড় ফণি মোকাবেলায় সাতক্ষীরায় ১১ লাখ টাকা ও ৩১৬ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ
সাতক্ষীরা, ৩ মে ২০১৯ (বাসস) : ঘূর্ণিঝড় ফণি মোকাবেলায় ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে জেলায় ৩১৬ মেট্রিকটন চাল ও ১১ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ঘুর্ণিঝড় পূর্ববর্তি অবস্থায় ইতোমধ্যে ৩ হাজার ২০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৫০ মেট্রিকটন চাল ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়েছে।
জেলায় সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল।
এসময় সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, ঘুর্ণিঝড় ফনি ও আমাবস্যার প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলা আজ প্লাবিত হতে পারে।
তিনি জানান, জেলা সার্বিক পরিস্থিতি ও দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে জেলায় ৩১৬ মেট্রিকটন চাল ও ১১ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও, ঘূর্ণিঝড় পূর্ববতিী অবস্থায় ইতোমধ্যে ৩ হাজার ২০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৫০ মেট্রিকটন চাল ও বিশুদ্ধ পানি উপজেলা নির্বাহি অফিসারদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জেলার সমুদ্র উপকূলবর্তী শ্যামনগর উপজেলায় ৬ হাজার, আশাশুনি উপজেলায় ২ হাজার এবং কালিগঞ্জ উপজেলায় ১ হাজার অর্থাৎ মোট প্রায় ১০ হাজার নারী, পুরুষ ও শিশুকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।
এছাড়াও গঠন করা হয়েছে ১১৬ টি মেডিকেল টিম। জেলায় ১৩৭ টি ‘সাইক্লোন সেন্টার’ ও ৩৮৭ টি স্কুল-কলেজের আশ্রয়কেন্দ্র ঘুর্ণিঝড় উপদ্রুত মানুষের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সকল উপজেলায় মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি জানান, জেলা প্রশাসন, পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকমিীরা ঘুর্ণিঝড় ফণি মোকাবিলায় সমবেতভাবে কাজ করছে।
বাসস/সংবাদদাতা/১৮২৫/এমকে